সাইফের আক্রমণকারীকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ
১৮ জানুয়ারি ২০২৫লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা সাইফ আলি খান ভালো আছেন। তাকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে কেবিনে রাখা হয়েছে। খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন সাইফ। ছুরির ফলা আর দুই মিলিমিটার প্রবেশ করলে তাকে বাঁচানো কষ্টকর হতো। আততায়ী সাইফের শরীরে ছয়বার ছুরি চালায়। তার মেরুদণ্ডের পাশে ছুরির ফলার একটা অংশ ঢুকে ছিল।
অপরাধী ধরা পড়েনি
মুম্বই পুলিশ ২০টি ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ ১০টি দল গঠন করে অভিযুক্তকে খুঁজছে। কিন্তু তাকে ধরতে পারেনি। পুলিশ একজনকে আটক করে দীর্ঘক্ষণ জেরা করার পর জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি সাইফের বাড়িতে ঢোকেনি। তারপরেও রাতে তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
ইতিমধ্যে মোট ৩০ জনকে জেরা করেছে পুলিশ। বান্দ্রা অঞ্চলের সব সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ তারা বাজেয়াপ্ত করেছে। সিসিটিভি-র নতুন একটি ফুটেজও সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ঘটনার নয়ঘণ্টা পরে দাদারে ওই ব্যক্তি একটি হেডফোন কিনছে।
ঘটনার দুই দিন আগে সাইফের বাড়িতে একজন কাঠের মিস্ত্রি কাজ করেছিলেন। তার বয়ানও নিয়েছে পুলিশ।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস জানিয়েছেন, ''পুলিশের হাতে বেশ কিছু ক্লু এসেছে। অভিযুক্ত এবার ধরা পড়বে।''
সাইফ ও করিনার ছোট ছেলে জাহাঙ্গিরের নার্স জানিয়েছেন, ওই দিন রাতে যে ব্যক্তি ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢোকে তার উচ্চতা পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চির মতো। দোহারা চেহারা। সে এক কোটি টাকা দাবি করেছিল। প্রথমে সে জাহাঙ্গিরের ঘরে ঢোকে। ওই নার্সই প্রথম তাকে দেখে।
বিল্ডিংয়ের সিসিটিভি ফুটেজে
সাইফ যে বহুতলে থাকেন, সেখানকার সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে, একজন মুখ ঢাকা ব্যক্তি পিঠে ব্যাগ নিয়ে পিছনের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছে। তার কিছুক্ষণ পর তাকে পিছনের সিঁড়িতে ছয় তলার কাছে নামতে দেখা গিয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী যোগেশ কদম দাবি করেছেন, ''কোনো সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠী এর পিছনে নেই। যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, সেও কোনো অপরাধী গোষ্ঠীর সদস্য নয়। নিছক চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই অপরাধী সাইফের ফ্ল্যাটে ঢোকে।''
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)