1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্তে হস্তক্ষেপ করবে না বাংলাদেশ

১০ জুন ২০২০

কুয়েতে আটক বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্তে বাংলাদেশ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম৷

https://p.dw.com/p/3dZ3N
কুয়েতে আটক বাংলাদেশের সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্তে বাংলাদেশ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না ছবি: Imago Images

কুয়েতের ইংরেজি দৈনিক ‘আরব টাইমস’কে সোমবার এই তথ্য জানান তিনি

পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে শহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ শনিবার রাতে তাঁকে কুয়েতের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়

এদিকে, শহিদ ইসলামের মালিকানাধীন কুয়েতি কোম্পানি ‘মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানি’র তিন কর্মীকে সোমবার রাতে কুয়েতের সিআইডি কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ৷ ঐ তিন কর্মী কোম্পানির হিসাব বিভাগে কাজ করেন৷

যেভাবে সাংসদ শহিদ ইসলাম

২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, শহিদ ইসলাম কুয়েত শাখা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন৷ ২০১৮ সালের নির্বাচনের বছর দুয়েক আগে তিনি এলাকায় গিয়ে দান কার্যক্রম শুরু করেন৷ এরপর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ার পর স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ান৷ লক্ষ্মীপুর-২ আসন জাতীয় পার্টির তৎকালীন সাংসদ মোহাম্মদ নোমানকে মহাজোট থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল৷ ফলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ শুরুতে নোমানের পক্ষে কাজ করেন৷ কিন্তু নির্বাচনের আগে ১৯ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন নোমান৷ এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগ শহিদ ইসলামের পক্ষে কাজ শুরু করেন৷

নোমান ‘টাকা নিয়ে' সরে দাঁড়িয়েছিলেন বলে সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল৷ এ প্রসঙ্গে শহিদ ইসলাম তখন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘‘উনি (নোমান) ফাইন্যান্সিয়ালি (আর্থিকভাবে) দুর্বল৷ নির্বাচনে থাকলে বড়জোর পাঁচ হাজার ভোট পেতেন৷ এসব বুঝেই উনি সরে দাঁড়িয়েছেন৷ এখানে লেনদেনের কোনো ঘটনা ঘটেনি৷’’ এছাড়া নির্বাচনের আগে তিনি ৩২ কোটি টাকা মানবসেবায় খরচ করেছিলেন বলেও জানান শহিদ ইসলাম৷

লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া৷

সাংসদ পদের কী হবে?

কুয়েতের মামলায় শহিদ ইসলামের শাস্তি হলে তাঁর সংসদ সদস্য পদ কি থাকবে? বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ২ ধারার ঘ-উপধারা বলছে, ‘‘কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হবার এবং সংসদ সদস্য থাকবার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দু'বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁর মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে৷’’ এখানে বিচার প্রক্রিয়াটি দেশে, না বিদেশে হতে হবে তা উল্লেখ করা হয়নি৷

জেডএইচ/কেএম (আরব টাইমস, প্রথম আলো)