সাংবাদিক হত্যার সন্দেহভাজন জার্মানিতে গ্রেপ্তার
১০ অক্টোবর ২০১৮বুলগেরিয়ার সাংবাদিক ভিক্টোরিয়া মারিনোভা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ৷ দ্রুত এ ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর নেতারা৷
বুলগেরিয়ার চিফ প্রসিকিউটর বুধবার জানিয়েছেন, এ হত্যাকাণ্ডে সেভেরিন কে নামের একজনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে তার দেশ৷ রুশ বংশোদ্ভূত ওই ব্যক্তিকে এরইমধ্যে হেফাজতে নিয়েছে জার্মানির পুলিশ৷
সেভেরিনকে গ্রেপ্তারের খবর মঙ্গলবার রাতে প্রথম দিয়েছে বুলগেরিয়ার একটি সংবাদপত্র৷ তবে এ বিষয়ে জার্মান কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি৷
সেভেরিন বুলগেরিয়ার নাগরিক, তার বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে৷ রোববার তিনি জার্মানির উদ্দেশে বুলগেরিয়া ছাড়েন৷ জার্মানিতে তার মা থাকেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
মারিনোভা যেখানে কাজ করতেন, বুলগেরিয়ার সেই টেলিভিশন স্টেশন টিভিএন বলছে, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি এবং মারিনোভা একে অপরকে চিনতেন না৷
তবে বুলগেরিয়ার আরেক সম্প্রচারমাধ্যম বিটিভি বলছে, বুলগেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর রুসেতে সন্দেহভাজনের অ্যাপার্টমেন্টে নিহত সাংবাদিকের মোবাইল ফোন পেয়েছে পুলিশ৷
সাংবাদিকতার জন্য হত্যা?
শনিবার রুসের একটি পার্কে মারিনোভার মৃতদেহ পাওয়া যায়৷ তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে৷
সাংবাদিকতার জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়েছে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়৷বুলগেরীয় কর্তৃপক্ষের ইউরোপীয় ইউনিয়নের তহবিলের অপব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য আলোচনায় এসেছিলেন মারিনোভা৷ ৩০ বছর বয়সি এই সাংবাদিক সম্প্রতি তাঁর টেলিভিশনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের নিয়ে একটি শো করেন৷
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার এক রোমানিয়ান নাগরিককে গ্রেপ্তার করে রুসের পুলিশ৷ পরে জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্টতা না পেয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷
ইউরোপে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার আহ্বান
ভিক্টোরিয়া মারিনোভার এই হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে৷ দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে হত্যা-রহস্য উন্মোচনের আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর নেতারা৷
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য মারিনোভাকে হত্যা করা হতে পারে বলে যে সন্দেহ করা হচ্ছে তাকে ততটা গুরুত্ব দিচ্ছে না বুলগেরিয়া কর্তৃপক্ষ৷ তবে বিশ্বে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান ১১১তম, যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এমনকি বলকান অঞ্চলের মধ্যেও সবচেয়ে খারাপ৷
তার এই হত্যাকাণ্ড ইউরোপে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলেছে৷ গত বছর স্লোভাকিয়া ও মালটায় দু'জন সাংবাদিক খুন হন৷ রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন তাঁরা৷
ডেভিড মার্টিন/এএইচ