1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিকদের মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে- আরএসএফ

আবদুস সাত্তার২২ মে ২০০৮

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স- আরএসএফ প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতি বছর সাংবাদিকদের মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে সারা বিশ্বে৷

https://p.dw.com/p/E4Ee
ঝুঁকির মুখে সাংবাদিকরাছবি: AP

সাংবাদিকরা যুদ্ধ এবং সংকটপূর্ণ অঞ্চলে তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ক্রমবর্ধমানহারে প্রাণ বিসর্জন দিচ্ছেন যদিও তাদের এই কাজের ঝুঁকির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা রয়েছে৷ গোটা বিশ্বে সংবাদপত্র ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে এনজিও৷ সংস্থাটি সম্প্রতি বার্লিনে মানবাধিকার কর্মীদের আমন্ত্রণ জানায় শসস্ত্র সংঘর্ষ চলাকালে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে ক্রমবর্ধমান হুমকি দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনার জন্য৷

যুদ্ধ এবং যুদ্ধাঞ্চল থেকে সাংবাদিকদের পাঠানো রিপোর্ট থেকে বিশ্ববাসী যুদ্ধ ওবং যুদ্ধাঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে পারেন৷ তাই সাংবাদিকরা তাঁদের রিপোর্ট এমনভাবে তৈরী করেন যাতে থাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বিশ্লেষণ এবং বিশ্বাসযোগ্যতা৷ এর ফলে তাদের রিপোর্টটি গ্রহণযোগ্যতা পায় এবং সুনাম অর্জন করে৷ এ প্রসঙ্গে জার্মান পররাষ্ট্র দফতরে মানবাধিকার ও মানবিক সাহায্য বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গ্যুন্টার নুক বলেন, শসস্ত্র সংঘর্ষের সময় মতামত প্রকাশ, তথ্যের আদানপ্রদান ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা রাষ্ট্রের দায়িত্ব ৷ কোন সমস্যার যখন সমাধান হয় না এবং শান্তি অর্জিত হয় না তখন সরকার সাংবাদিকদের কাছ থেকে আশা করে যুদ্ধ এবং সংকট সম্পর্কে বস্তু ও সত্যনিষ্ঠ রিপোর্ট৷ এ ধরনের রিপোর্ট সাহায্য করতে পারে সংকট নিরসনে৷

গ্রীস ও ফ্রান্সের উদ্যোগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের জীবনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি সম্পর্কে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় এবং সতেরোশ আটত্রিশ নম্বর প্রস্তাব পাশ হয়৷ এই প্রস্তাবে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে তারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে ৷ সে যাই হোক, কোন সাংবাদিকের মৃত্যু কোন ব্যক্তি বিশেষ বা পরিবারের ট্র্যাজেডি নয় শুধু সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতিও হুমকিস্বরুপ৷