1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিকদের উপর বন্দিজীবনের ক্ষোভ

১১ মে ২০২০

করোনা সংকটে টানা নিষেধাজ্ঞায় জার্মানিতে জনমনে ক্ষোভের জন্ম হচ্ছে৷ বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার দাবিতে হচ্ছে বিক্ষোভ৷ সেখানে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা হামলার শিকার হচ্ছেন৷ বাড়ছে তাদের জীবনের ঝুঁকি৷

https://p.dw.com/p/3c2BO
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Soeder

করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রার্থনালয়, দোকান ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়াসহ সামাজিক জীবনযাপনে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করে জার্মান সরকার৷ জনসমাগম আটকাতে একের পর এক নানা অনুষ্ঠান-আয়োজন বাতিল করা হয়৷

যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায়  বিধি নিষেধও ধিরে ধিরে শিথিল হচ্ছে৷ কিন্তু এখনো অনুষ্ঠান আয়োজন, ভ্রমণসহ নানা বিষয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি আছে৷

সরকারি এসব ব্যবস্থার সমালোচনা করে অনেকে বলেন, এই বিধি নিষেধ মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকারের পরিপন্থি৷ কারো কারো মতে, এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে বরং টিকা বাধ্যতামূলক করা উচিত৷ যদিও করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো টিকা এখনো বাজারে নেই৷

শুধু জার্মানি নয় বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেই করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আরোপিত লকডাউন তুলে নিতে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার দাবিতে বিক্ষোভ হচ্ছে৷

জার্মানিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটা  হয়েছে গত রোববার দক্ষিণের নগরী স্টুটগার্টে৷ মিছিলে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন ৷ পুলিশ বলেছে, মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল৷

কিন্তু এ ধরণের বিক্ষোভে সাধারণত হাতাহাতি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে৷ বিশেষ করে দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের উপর বিক্ষোভকারীদের চড়াও হতে দেখা যাচ্ছে৷ রাজধানী বার্লিনে অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমের দুইটি ক্যামেরা দলকে হামলার শিকার হতে হয়েছে৷

যে ঘটনা জার্মানি জুড়ে ত্রাসের জন্ম দিয়েছে৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউ-র মহাসচিব পাউল  জিমিয়াক এটা নিয়ে টুইটারে লেখেন, গত ১ মে ‘টুডে শো’র ক্যামেরা ক্রুদের উপর হামলার ঘটনায় তিনি ‘স্তম্ভিত' হয়ে গেছেন৷ এটা জার্মানিতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হামলা৷

এসএনএল/কেএম

৬ মে’র ছবিঘরটি দেখুন...