1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্যমধ্যপ্রাচ্য

সম্পর্কের অবনতির মাঝেও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগে চোখ সৌদির

২৩ অক্টোবর ২০২২

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি ইস্যুতে কয়েক দশকের মিত্র যক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে৷ তবে সম্পর্কের অবনতি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ পেতে উদগ্রীব রিয়াদ৷

https://p.dw.com/p/4IZVi
Saudi-Arabien | Besuch US-Präsident Joe Biden | Golf-Kooperationsrat
ফাইল ছবি৷ছবি: Evan Vucci/AP/dpa/picture alliance

 আগামী বুধবার থেকে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশটির ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ বা বিনিয়োগ সম্মেলন৷ চলতি বছরের এই সম্মেলনটি নানা করণেই সৌদি আরবের কাছে গুরুত্বপূর্ণ৷

যেমন তেলের উপর অর্থনীতির নির্ভরতা কমিয়ে আনতে দেশটির প্রয়োজন বিদেশি বিনিয়োগ৷ তাছাড়া সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন ২০৩০ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও বিদেশি বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ৷ আগামী এক দশকেরও কম সময়ে নতুন নতুন ব্যবসায়িক খাত তৈরির মাধ্যমে  কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনা করেছেন তিনি৷

কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো সৌদি আরবের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না৷ সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের সাথে সৌদি রাজপরিবার জড়িত এমন অভিযোগ এবং সেই সাথে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিমা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তেমন একটা সাড়া পায়নি সৌদি৷

চলতি বছরের সম্মেলন ঘিরে আশা দেখলেও আন্তর্জাতিক রাজনীতিক জটিল সমীকরণে আটকে আছে দেশটি৷ বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ওয়াশিংটনের সাথে রিয়াদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে শুরু হওয়া গভীর সম্পর্কের ফাটল অনেকটা স্পষ্ট৷ বিশেষ করে তেল উৎপাদনকারীদের জোট ওপেক প্লাসের দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল সরবরাহ কমানোর ঘোষণায় সৌদির উপর নাখোশ যুক্তরাষ্ট্র৷

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দাবি, তেল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার এমন সিদ্ধান্ত রাশিয়াকে লাভবান করবে৷ এর প্রতিক্রিয়ায় সৌদি আরবকে এর ‘ফল ভোগ' করতে হবে এমন মন্তব্যও করেন জো বাইডেন৷ তবে রিয়াদের দাবি, বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত জোটের৷

এরই মাঝে সৌদি আরবের বিনিয়োগ সম্মেলন পশ্চিমাদের বিশেষ করে ওয়াল স্ট্রিটের হর্তাকর্তাদের কতটা আকৃষ্ট করতে পারবে সে বিষয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে৷ তবে চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা দূরত্ব বজায় রাখবে এমনটা মনে করছেন না বিশেজ্ঞরা৷    

ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড এটিয়াস সংবাদসংস্থা  রয়টার্সকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের চারশরও বেশি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নিবেন এই প্রত্যাশা তাদের৷       

অবশ্য রয়টার্সের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেপি মরগান, জেমি ডিমোন এবং বিএনওয়াইয়ের কর্তাব্যক্তিরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন৷ এদিকে গোল্ডম্যান স্যাক্স, ব্ল্যাকস্টোন, বোয়িং অ্যান্ড ফ্রাংকলিন টেম্পেলটনের প্রতিনিধিরাও সম্মেলনের যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷      

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং ফেলো এবং হাইব্রিজ অ্যাডভাইজোরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আডেল হামাইজিয়া বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না যে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো সৌদি আরবকে এড়িয়ে চলবে৷’’ 

তিনি বলেন, ‘‘সৌদি আরবের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা খুব গুরুত্বপুর্ণ৷ তারা দেশটির নতুন নতুন খাত যেমন পর্যটন, বিনোদন, প্রযুক্তি ও ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা খাতে ভূমিকা রাখতে পারে৷

আরআর/এফএস (রয়টার্স)