সমুদ্রের গহিনে হারিয়ে যাবে মালদ্বীপ, কিরিবাতি
১ ডিসেম্বর ২০১০সোমবার থেকে মেক্সিকোর কানকুনে শুরু হয়েছে প্রায় দু'সপ্তাহব্যাপী বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন৷ সেখানে কেপ ভার্ডের প্রতিনিধি এবং ৪৩টি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রের জোট এওএসআইএস এর সহ-সভাপতি আন্টোনিও মনটেইরো লিমা বলেন, কিরিবাতি, টুভালু, দ্য কুক আইল্যান্ডস, দ্য মার্শাল আইল্যান্ডস এবং মালদ্বীপ রয়েছে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে৷ এইসব দেশের মানুষেরা এখন বাঁচার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে৷ তাদের আশঙ্কা, একদিন তাদের ইতিহাস কী শেষ হয়ে যাবে? কেননা, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে৷ কোন স্থায়ী ব্যবস্থা যদি না নেয়া হয়, তাহলে আস্তে আস্তে দ্বীপগুলো কোন একদিন সাগরগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে৷ ফলে ইতিহাস থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে দ্বীপের এইসব মানুষেরা৷ জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের সূচনায় একটি সংবাদ সম্মেলনে লিমা একথা বলেন৷
দ্বীপ দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, সমুদ্রপৃষ্ঠ উত্তাল হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে কমে আসছে সৈকতের সীমা৷ সেইসঙ্গে বসতবাড়িতে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করছে এবং সুপেয় পানির অভাব দেখা দিচ্ছে৷ আর এর পরিণতির কথা ভেবে ভয় পাচ্ছেন দ্বীপবাসীরা, যে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো মানচিত্র থেকেই মুছে যাবেন তাঁরা৷
দ্বীপরাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিরা দাবি করছেন, তাপমাত্রার বৃদ্ধি এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে সীমিত রাখতে কানকুনের এই সম্মেলনে ২০১১ সালের মধ্যে মান্য করার আইনি বাধ্যবাধ্যকতা সম্পন্ন একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিৎ ৷
এওএসআইএস এর সভাপতি গ্রেনাডার ডেসিমা উইলিয়ামস বলেন, আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিনদিন বাড়ছে৷ এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে এইসব দেশগুলো৷
বিংশ শতাব্দীতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে প্রায় সতেরো সেন্টিমিটার৷ আর এরজন্য দায়ী করা হচ্ছে ধনী দেশগুলোর গ্রিন হাউস গ্যাস নি:সরণকেই৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক