সমাহিত হলেন নিহত পাঞ্জাব গভর্নর
৫ জানুয়ারি ২০১১কড়া নিরাপত্তা
নিহত পাঞ্জাব গভর্নরের শেষকৃত্য উপলক্ষে গোটা লাহোর শহরে আজ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়৷ দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ ছিল৷ গোটা শহরে বাড়তি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়৷ কেবল সালমান তাসিরকে যেখানে দাফন করা হয়েছে সেখানকার আশপাশের এলাকাতেই চার হাজার পুলিশ নিয়োজিত ছিল যাতে কোন ধরণের সংঘর্ষ বা হামলার ঘটনা না ঘটে৷
পাঞ্জাবের গভর্নর হাউসে সালমান তাসিরের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি ছাড়াও মন্ত্রী পরিষদের অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়া পাকিস্তান পিপলস পার্টি পিপিপির নেতৃবৃন্দও জানাজাতে অংশ নেন৷ দলের প্রায় তিন হাজার কর্মী সমর্থক এসময় গভর্নর হাউস এলাকাতে সমবেত হন৷ তারা সালমান তাসিরের পক্ষে স্লোগান দেন৷ জানাজা শেষে হেলিকপ্টারে করে নিহত গভর্নরের কফিন নিয়ে যাওয়া হয় লাহোরের সেনানিবাস এলাকাতে৷ সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়৷
তদন্ত চলছে
সালমান তাসিরের মৃত্যুতে পাকিস্তানের উগ্র ধর্মীয় দলগুলোর প্রভাব আবারও প্রমাণিত হলো৷ নিজ দেহরক্ষীর হাতেই তিনি নিহত হওয়ার পর এখন এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সরকার৷ জানা গেছে, ২৬ বছর বয়স্ক দেহরক্ষীর নাম মালিক মুমতাজ হুসেন কাদরি৷ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এই কমান্ডোকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল খোদ সরকারের পক্ষ থেকেই৷ এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে কারা তাকে দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেছেন, আমরা জানতে চাই কারা তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে৷ তবে আমরা জানি যে সে এই দায়িত্ব পাওয়ার জন্য পুলিশের কর্মকর্তাদের কাছে দেন দরবার করেছে৷ জানা গেছে, ইতিমধ্যে পুলিশ সুপার সহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে৷
বিশ্ব নেতৃবৃন্দের শোক
সালমান তাসিরের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ৷ জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন তার মৃত্যুকে পাকিস্তানের জন্য একটি বড় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন৷ একই ধরণের প্রতিক্রিয়া এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে৷ অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন এক বিবৃতিতে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক