সবচেয়ে ব্যয়বহুল কিছু খেলোয়াড় ‘ট্রান্সফারের’ কথা
২০১২ সালে পল পগবা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে জুভেন্টাসে গিয়েছিলেন বিনা ট্রান্সফার ফিতে৷ তবে চারবছর পর, তিনি আবারো ফিরেছেন ১২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে, যা কিনা একটা বিশ্ব রেকর্ড৷ এ রকম আরো রেকর্ডের কথা থাকছে ছবিঘরে৷
১. পল পগবা
বেশ কিছুদিন ধরে কানাঘুষা, নানা কাহিনির পর অবশেষে বিষয়টির সুরাহা হয়েছে৷ ১২০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি দিয়ে ফরাসি আন্তর্জাতিক ফুটবলার পল পগবাকে দলে ফিরিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড৷ এটা শুধু চলতি গ্রীষ্ম নয়, খেলোয়াড় ট্রান্সফার ফি-র বিশ্বরেকর্ড৷
২. গ্যারেথ বেল
ওয়েসলের ‘সুপার স্টার’ গ্যারেথ বেল ২০১৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়েছিলেন৷ তখন ১০১ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি দিয়ে তাঁকে দলে নিয়েছিল রেয়াল মাদ্রিদ৷ স্পেনের কোনো দলের এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফি দিয়ে কাউকে দলে নেয়ার রেকর্ড৷
৩. ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো
এই তালিকায় নিজেকে তৃতীয় অবস্থানে দেখে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডা সন্তুষ্ট হবেন কিনা বলা মুশকিল৷ ২০০৯ সালে ৯৪ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি দিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে তাঁকে দলে নেয় রেয়াল মাদ্রিদ৷ চলতি বছর পর্তুগাল ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ানশিপ জেতার পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি৷
৪. গনসালো হিগুয়েন
লিগে ৩৫ ম্যাচে ৩৬ গোল করা গনসালো হিগুয়েন ২০১৫-২০১৬ মৌসুমে নাপোলিতে অসাধারণ সময় কাটিয়েছেন৷ ইটালির আরেক ক্লাব জুভেন্টাস তাঁকে পেতে ৯০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে৷ বলা বাহুল্য, নাপোলির সমর্থকরা এতে মোটেই সন্তুষ্ট নন৷
৫. নেইমার
ট্রান্সফার ফি রেকর্ডের পঞ্চম অবস্থানে আছেন ব্রাজিলের তারকা নেইমার৷ ২০১৩ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজ দেশের ক্লাব সান্তস ছেড়ে এফসি বার্সেলোনায় চলে যান তিনি, ট্রান্সফার ফি ছিল ৮৮ মিলিয়ন ইউরো৷ ২০১৪-২০১৫ মৌসুমে বার্সার হয়ে সর্বোচ্চ গোল করেন নেইমার৷
৬. লুইস সুয়ারেস
সাবেক ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল কার্যত এখনো লুইস সুয়ারেসের শূন্যতা পূরণ করতে পারেনি৷ ২০১৪ সালে ৮২ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফির বিনিময়ে সেদল ছেড়ে বার্সেলোনায় চলে যান লুইস সুয়ারেস৷ ২০১৪ সালে বিশ্বকাপে এক খেলোয়াড়কে কামড় দিয়ে বিতর্কিত সুয়ারেস এখন গোল দেয়ার দিকেই মনোযোগী বেশি৷