1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবচেয়ে বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী জার্মানিতে

৩ জানুয়ারি ২০১৭

ইউরোস্ট্যাট-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালের প্রথম নয় মাসে জার্মানিতে যত অ্যাসাইলামের আবেদন জমা পড়েছে ও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, ইইউ-এর বাকি ২৭টি দেশ মিলে তত হয়নি৷

https://p.dw.com/p/2VC8h
Deutschland Flüchtlinge kommen an der ZAA in Berlin an
ছবি: Getty Images/S. Gallup

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাটের সদ্য প্রকাশিত পরিসংখ্যানc দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত জার্মানিতে ৪ লাখ ২০ হাজার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নিয়ে কাজ শুরু হয়৷ এই সময়ে গোটা ইইউ-তে মোট ৭ লাখ ৫৬ হাজার অ্যাসাইলামের আবেদন প্রক্রিয়াধীন হয়, যাতে জার্মানির অংশ ছিল ৫৫ শতাংশ৷ এ সময়ে ইইউ-তে যে মোট ৯ লাখ ৮৮ হাজার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা পড়েছে, তার দুই-তৃতীয়াংশই ছিল জার্মানিতে৷

পরিসংখ্যানেও রকমফের আছে৷ ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬-র প্রথম নয় মাসে জার্মানিতে অ্যাসাইলামের আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ১২ হাজার; জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিন্তু বলছে, ৬ লাখ ৫৮ হাজার অ্যাসাইলামের অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়েছে৷

এই পরিসংখ্যান কিন্তু সংশ্লিষ্ট সময়ে জার্মানিতে যত উদ্বাস্তু এসেছেন, তাদের সংখ্যা নয়৷ গতবছর যারা অ্যাসাইলামের আবেদন করেছেন, তাদের অনেকেই তার আগেই জার্মানিতে এসেছেন - কিন্তু কোনো কারণে বিধিবদ্ধভাবে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা দিতে পারেননি৷ জার্মান সরকারের ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম দেখাচ্ছে, ২০১৬ সালের প্রথম নয় মাসে ২ লাখ ৭২ হাজার উদ্বাস্তু বা বহিরাগত জার্মানিতে পৌঁছান৷

উল্লেখিত সময়ে ইটালি ৬৮ হাজার অ্যাসাইলামের আবেদন প্রক্রিয়াজাত করেছে৷ অপরদিকে জমা পড়েছে প্রায় ৮৫ হাজার অ্যাসাইলামের আবেদন৷ ফ্রান্সও ঐ সময়ে ৬৩ হাজার অ্যাসাইলামের আবেদন প্রক্রিয়াজাত করে৷ অর্থাৎ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে ইটালি দ্বিতীয় স্থানে হলেও, তার সংখ্যা জার্মানির ছয় ভাগের এক ভাগেরও কম৷

ডেনমার্কেআবেদন কমেছে নাটকীয়ভাবে: ২০১৫-য় যা ছিল ২১ হাজার, ২০১৬-র প্রথম নয় মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার তিনশ'য়৷ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়াজাত, অর্থাৎ বিবেচনা করার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন স্থানে গ্রিস, যেখানে ৩০ হাজার অ্যাসাইলামের আবেদন জমা পড়লেও, মাত্র সাত হাজার ছয়শ' আবেদন বিবেচনা করা হয়েছে৷

তবে গ্রিসের ক্ষেত্রে এটা বলা দরকার যে, মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপ অভিমুখে ‘বলকান রুট' বন্ধ হয়ে যাবার পর প্রায় ৫০ হাজার অভিবাসন প্রয়াসী এখনও গ্রিসের বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরে আটকা পড়ে রয়েছেন ও তাদের জীবনধারণের ব্যবস্থা করতে ঋণগ্রস্ত দেশটি হিমশিম খাচ্ছে৷

ইউরোপীয় পর্যায়ে অ্যাসাইলামের পরিসংখ্যান জার্মানিতে প্রথম প্রকাশ করে ‘ডি ভেল্ট' পত্রিকা৷ জার্মান সংসদের এক উপসভাপতি ইওহানেস জিংহামার পত্রিকাটিকে বলেছেন, ‘‘ইউরোপ দক্ষিণের দেশগুলি থেকে উদ্বাস্তু নেওয়ার দায় অন্যের কাঁধে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে যেমন শোনা যায়, এই সব পরিসংখ্যান তা ভুল প্রমাণ করে৷'' অপরদিকে এই পরিসংখ্যান স্পষ্ট করে দেয় যে, ‘‘জার্মানিতে উদ্বাস্তু সংকটের সমাধান হয়নি'', বলেন জিংহামার৷

এসি/এসিবি (ডিপিএ, কেএনএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান