সফিকুলের পাশে বুদ্ধিজীবীরা, মুক্তির দাবি
৬ জুলাই ২০২০আরামবাগ টিভি-র কার্যনির্বাহী সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীকে ভোররাতে বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে গ্রেপ্তারকরেছিল পুলিশ। একইরকমভাবে ধরা হয়েছিল ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক সুরজ আলি মন্ডলকেও। পুলিশের অভিযোগ, সফিকুলদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগ আছে।
সফিকুলের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন বিরোধীরা। এ বার বিশিষ্টজনেরাও সফিকুলের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, যে ভাবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা গণতন্ত্র ও সংবিধানের ক্ষেত্রে অশনিসঙ্কেত। তাঁরা অবিলম্বে সফিকুলের মুক্তি চেয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, অনিক দত্ত, সব্যসাচী চক্রবর্তী, পল্লব কীর্তনীয়া, ওয়াসিম কাপুর, সমীর আইচ, মন্দাক্রান্তা সেন, অশোক বিশ্বনাথন, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, শুভঙ্কর চক্রবর্তী, অশোকনাথ বসু সহ অনেকে মিলে এই বিবৃতি দিয়েছেন।
সিপিএমের আইনজীবী সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, তিনি নিজে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করবেন। কারণ, যে ঘটনা ঘটেছে, তা কোনোভাবেই মানা যায় না। তবে তার আগে জেলা আদালতে মঙ্গলবার সফিকুলের মামলা উঠবে।
বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন হুগলির পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) তথাগত বসু। তিনি সম্প্রতি একটি সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেছেন, ''সফিকুলরা কেউই সাংবাদিক নন। তাঁরা বিভিন্ন নামে চারটি খবরের কাগজ প্রকাশ করেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর জানিয়েছে, ওই সব সংবাদপত্র সরকার স্বীকৃত নয়। সফিকুল একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান। গত মার্চে তাঁরা একজনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। এর আগেও ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত চারবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সফিকুল।''
কিন্তু আরামবাগ টিভির অভিযোগ, আসলে তাঁরা খবরদেখিয়েছিলেন, করোনার সময়ে পুলিশ থানা থেকে ক্লাবগুলিকে এক লাখ টাকা করে দিচ্ছে। কিন্তু হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, এই খবরের ভিত্তিতে সফিকুলকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তা ছাড়া পুলিশের ঘুষ খাওয়ার ছবি সহ খবর করা হয়। সফিকুলকে গ্রেপ্তার করার আসল কারণ এই সব খবরই। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল, তাদের শো কজ করা হয়েছে। কিন্তু সফিকুলের গ্রেপ্তারির সঙ্গে ওই সব খবরের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁকে ধরা হয়েছে, ভয় দেখিয়ে, জোর করে টাকা তোলার অভিযোগে।
জিএইচ/এসজি(ডেইলিহান্ট, সংবাদ প্রতিদিন)