ফ্রাংকফুর্ট বুন্ডেসলিগার শীর্ষে
২ সেপ্টেম্বর ২০১২এক সপ্তাহ আগে বুন্ডেসলিগার সূচনায় নিজেদের মাঠে খোদ বায়ার লেভারকুজেন'কে ২-১ গোলে ঠান্ডা করেছিল ফ্রাংকফুর্ট৷ শনিবার রাইন-নেকার অ্যারেনায় তাদের ফর্ম আরো ভয়ংকর দেখা গেল৷ মিডফিল্ডার আলেক্সান্ডার মায়ার প্রথম গোলটি করার পর বিরতির আগেই দ্বিতীয় গোলটি করেন পির্মিন শোয়েগ্লার৷ খেলার ৭০ এবং ৭৩ মিনিটের মাথায় হফেনহাইমের এক মিডফিল্ডার এবং এক ডিফেন্ডারের হলুদ-লাল কার্ড দেখাটাও ফ্রাংকফুর্টের পক্ষে মন্দ হয়নি৷ খেলা শেষ হবার মুখে মায়ার আরো একটি গোল করে পেনাল্টি শটে, সেই সঙ্গে প্রায় রেফারির হুইসেলের সঙ্গে সঙ্গে মার্টিন লানিশ'এর হেড করে গোল, খেলার চতুর্থ৷
যতো দোষ, নন্দ ঘোষ
খেলার পর ফ্রাংকফুর্টের কোচ আর্মিন ফে ঠাট্টা করে বলেছেন: ‘‘আমরা এবার জার্মান চ্যাম্পিয়ন না হলে আমি খুব হতাশ হব৷'' ওদিকে গত মরসুমের চ্যাম্পিয়ন বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড শনিবার নুরেমবার্গে ১-১ ড্র করেছে৷ ডর্টমুন্ডের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেছেন: ‘‘প্রথমার্ধে মনে হচ্ছিল, খেলাটা আমাদের হাতেই আছে, কিন্তু শেষমেষ গোলটা করা হয়ে ওঠেনি৷ খেলার শেষ তৃতীয়াংশে আমরা যথেষ্ট ভালো খেলিনি, আবার খেললেও, বড় তাড়াহুড়ো করেছি৷ রেফারির ব্যাপারেও আমি খুব খুশি নই৷ অনবরত হুইসেল বাজিয়ে গেছেন, হলুদ কার্ড বিলিয়ে খেলার বারোটা বাজিয়েছেন৷ ফুটবল একটা শক্ত খেলা, কেউই ফাউল করতে চায় না, কিন্তু রেফারি সব কিছুতেই বাঁশি বাজিয়েছেন৷''
একা কুম্ভ রক্ষা করে নকল বুঁদির গড়
উত্তরের ডার্বিতে হামবুর্গ ব্রেমেনের কাছে হারে ২-০ গোলে, যদিও সপ্তাহান্তে ট্রান্সফার বাজারের গরমগরম খবর ছিল ডাচ ইন্টারন্যাশনাল রাফায়েল ফ্যান ডের ফার্ট'এর টটেনহাম হটস্পার থেকে হামবুর্গে ফেরা৷ ফ্যান ডের ফার্টকে অবশ্য শনিবার স্ট্যান্ডে বসেই খেলা দেখতে হয়েছে৷ হামবুর্গের কোচ থর্সটেন ফিংক স্পষ্টই বলেছেন, শুধু ফ্যান ডের ফার্টের ফেরাতেই হামবুর্গের ভাগ্য ফিরে যাবে, এমন নয়৷ তার পক্ষে একা এই বোঝা টানা সম্ভব হবে না৷ হামবুর্গ এ'মরসুমের প্রথম দুটো খেলাই হেরেছে নিজেদের তরফ থেকে কোনো রকম গোল না করে৷ ‘‘ফ্যান ডের ফার্ট'কে ঘিরে অনেক হাইপ চলেছে, আমি জানি, কিন্তু আমাদের সকলকেই দায়িত্বের ভাগ নিতে হবে,'' বলেছেন ফিংক৷ ফিংক আবার গত দু'বছরে হামবুর্গের পঞ্চম কোচ৷ কাজেই তাঁর নিজের বাঁচামরার প্রশ্নও এর সঙ্গে জড়িত৷
এর নাম ফ্যান?
কোলোন এখন দ্বিতীয় ডিভিশনে৷ কোলোনের ফ্যানরাও যেন ঠিক সেই পরিমাণে হতাশ, ক্ষুব্ধ, দুর্দান্ত এবং মারমুখী হয়ে উঠছে৷ ডিফেন্ডার কেভিন পেৎসোনি'কে তো এবার ক্লাবই ছাড়তে হল স্রেফ ফ্যানদের ভয়ে৷ গত সপ্তাহে তার বাড়ির সামনে একদল ক্ষিপ্ত ফ্যান তাকে আক্রমণ করে এবং ভয় দেখায়৷ ২৩ বছর বয়সি পেৎসোনি কোলোনের কোচ স্টানিস্লাভস্কি'কে বলেছেন, তিনি আর নিজেকে নিরাপদ বোধ করছেন না৷ কোচের মন্তব্য: পায়ে বল এলে ভুল পাস করা নিয়ে যদি খেলোয়াড়কে দুশ্চিন্তায় ভুগতে হয়, তবে সে'ভাবে খেলা চলে না৷
এসি / এএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)