1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংবিধানের অধীনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩১ অক্টোবর ২০১৩

বর্তমান সংবিধানের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ধরে নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷ সেজন্য খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়েছে৷ প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, তারা নির্ধারিত সময়েই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত৷

https://p.dw.com/p/1A9Di
unser Korrespondent in Dhaka, Herr Harun Ur Rashid Swapan hat die angehängten Bilder am 07.02.12 aufgenommen, und stellt sie der DW zur Verfügung. Titel: Bangladesh Election Commission Bildbeschreibung: The search committee, formed to suggest names for election commissioners of Bangladesh, has recommended that either former cabinet secretary Ali Imam Majumder or ex-home secretary Kazi Rakib Uddin Ahmed be the chief election commissioner. The picture shows the secretariat of Bangladesh Election Commission in Dhaka.
ছবি: DW

তবে রাজনৈতিক সমঝোতা হলে ২৪ জানুয়ারির পরেও নির্বাচন হতে পারে৷

নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত মনে করছে সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন হবে৷ সংসদ বহাল থাকবে এবং মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা পদে থেকেই নির্বাচন করতে পারবেন৷ আর তা বিবেচনায় রেখেই নির্বাচনে প্রার্থীদের খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়েছে বুধবার৷ তাতে বলা হয়েছে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যরা যাঁরা পদে থেকে নির্বাচন করবেন তাঁরা সরকারি সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা বা নির্বাচনি কোনো ধরণের কাজ করতে পারবেন না৷ তাঁরা যখন সরকারি কোনো কাজে যাবেন তখনও নির্বাচনের কাজ করতে পারবেন না৷

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন এবং গেজেট প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত সরকার কেবল তার রুটিন কাজ করবে, কোনো নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না৷ প্রশাসনে কোনো রদবদল বা পরিবর্তন হবে নির্বাচন কমিশনের পরামর্শে৷

Kaji Raqib Uddin Ahmed, der neue Leiter der Wahlkommission in Bangladesh Copyright: DW/Harun Ur Rashid Swapan Bangladesh, 2012
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদছবি: DW

তিনি জানান নির্বাচন কমিশনের এখন যে আচরণবিধি আছে তা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য৷ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে ধরে নিয়ে তারা নতুন এই আচরণবিধি তৈরি করেছেন৷

সাধারণের মতামতের জন্য খসড়া আচরণবিধি আগামী রোববার থেকে সাতদিনের জন্য ওয়েবসাইটে দেয়া থাকবে৷ এরপর চূড়ান্ত করা হবে৷ তিনি জানান আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে শাস্তিরও ব্যবস্থা থাকবে৷

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, ২৪ জানুয়ারির মধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় হাতে রেখে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে৷ জানুয়ারি মাসের প্রথমার্ধই নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় বলে কমিশন মনে করে, জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার৷ জানা গেছে নভেম্বরের শেষে তফশিল ঘোষণা হতে পারে৷ তবে রাজনৈতিক সমঝোতা হলে ২৪ জানুয়ারির পরেও নির্বাচন হতে পারে বলে মনে করেন তিনি৷

এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোনয়নের কাজ শুরু করে দিয়েছে৷ দলের নেতা তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন সরকার নির্বাচরকালীন সর্বদলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়েছে৷ বিএনপি চাইলে এই সরকারে যোগ দিতে পারে৷

অন্যদিকে, বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলন আরো তীব্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তিন দিনের হরতালের পর ৪ নভেম্বর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী ১৮ দলীয় জোট৷ তারা শুধু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় নয়, একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলেকে জানান, এই নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ৷ বিরোধী দলের কাছে তাদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই৷ তারা একটি একতরফা নির্বাচনের জন্য সরকারকে সহায়তা করছে৷ তাদের সে প্রচেষ্টা সফল হবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য