1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংঘর্ষ নিয়ে প্রস্তাব নিতে পারেনি জাতিসংঘ

১৭ মে ২০২১

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ নিয়ে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন বাইডেন। কিন্তু তাতেও সংঘর্ষ থামেনি। প্রশ্ন উঠছে অ্যামেরিকা এবং জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে।

https://p.dw.com/p/3tTfj
ইসরায়েল
ছবি: Mustafa Hasson/AA/picture alliance

ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ দ্বিতীয় সপ্তাহে পড়ল। গাজা স্ট্রিপ কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সোমবার ভোরেও গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে টুইট করেছে। রোববার রাত এবং সোমবার সকালের হামলায় গাজা স্ট্রিপে অন্তত ৪২ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে হামাসের দাবি। তার মধ্যে শিশুও আছে। রোববার হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলেও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ইসরায়েলের প্রশাসন জানিয়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে গাজায় সংবাদমাধ্যমের উপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে এ বিষয়ে অভিযোগও জানিয়েছে তারা।

রোববার মাঝরাত থেকে গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। সোমবার ভোরে ইসরায়েলের সেনা টুইট করে জানায়, গাজায় বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।

ইসরায়েলের দাবি, এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে গাজা স্ট্রিপ থেকে ১৩১টি রকেট ছোড়া হয়েছে। বেশ কিছু রকেট আয়রন ডিফেন্স ডোমের সাহায্যে আটকানো গেলেও কিছু ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলে রকেট হামলায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছু মানুষের। বহু মানুষকে নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়েছে। তারই মধ্যে রোববার ইসরায়েল লক্ষ্য করে নতুন করে হামলা শুরু করেছে হামাস।

শনি এবং রোববার গাজা স্ট্রিপের একাধিক টাওয়ার বা উঁচু বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি, ওই বাড়িগুলিতে হামাসের মিলিটারি আফিস ছিল। কিন্তু বাস্তবে যে বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আল জাজিরা, অ্যাসোসিয়েট প্রেসের অফিসও ছিল। ঘটনার পরেই সরব হয়েছে সাংবাদমাধ্যম। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের তরফে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া হয়েছে। এপি অভিযোগ করেছে, জাতিসংঘ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না।

বস্তুত, জাতিসংঘের অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে জো বাইডেনের অ্যামেরিকা নিয়েও। রোববার একটি ভিডিও মেসেজে বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মানুষের বাঁচার অধিকার আছে। দ্রুত এই লড়াই বন্ধ হওয়া দরকার। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করছে অ্যামেরিকা।

আলোচনা কি সত্যিই করা হচ্ছে? জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে প্রস্তাবের আবেদন করেছিল চীন, নরওয়ে এবং টিউনিশিয়া। কিন্তু অ্যামেরিকা এখনই যুদ্ধ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সম্মত হয়নি। ফলে কোনো প্রস্তাবও গ্রহণ করতে পারেনি জাতিসংঘ। এর ফলে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কূটনীতিকদের একাংশের অভিযোগ, অ্যামেরিকা প্রথম থেকেই ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে কথা বলছে। যুদ্ধ বন্ধেও সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে না।

আরব বিশ্ব অবশ্য প্রায় প্রতিদিনই নিন্দা প্রস্তাব পাশ করছে। যে ভাবে যুদ্ধ চলছে এবং মানুষ মারা যাচ্ছে, তার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে।

এসজি/জিএইচ (এপি, এএফপি, রয়টার্স, আল জাজিরা)