1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংগীত

১৬ আগস্ট ২০১২

পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশকে ‘রক অ্যান্ড রোল’ সংগীতের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন এলভিস প্রেসলি৷ ১৬ই আগস্ট অসাধারণ এই মার্কিন সংগীত তারকার ৩৫তম মৃত্যু বার্ষিকী৷

https://p.dw.com/p/15qRN
ছবি: picture-alliance/dpa

তাঁকে বলা হয় ‘কিং অফ রক অ্যান্ড রোল' অথবা শুধু ‘দ্য কিং'৷ ১৯৫৪ সালে কান্ট্রি এবং আরঅ্যান্ডবি'এর মিশ্রণে ‘রোকাবিলি' সংগীত দিয়েই গায়ক হিসেবে তাঁর সফল আত্মপ্রকাশ৷ ৫৬ সালে তাঁর প্রথম ‘রক এন্ড রোল' গান ‘হার্ট ব্র্যক হোটেল' তাঁকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি৷ তার পর থেকেই রক সংগীতের আদর্শ হয়ে ওঠেন তিনি

একই বছরের শেষের দিকে মুক্তি পায় তাঁর অভিনিত প্রথম ছায়াছবি ‘লাভ মি টেন্ডার'৷ ৩০টিরও বেশি ছায়াছবিতে অভিনয় ও গান গেয়েছেন এলভিস৷ এ সমস্ত ছবির গান তাঁকে এনে দেয় বিশ্ব জনপ্রিয়তা৷ সংগীত জগতে চির সবুজ হয়ে আছে তাঁর বহু গান৷ তাঁর আবেগময় সুরেলা কণ্ঠে একাকিত্ব, আশা আকাঙ্ক্ষা, ব্যাকুলতা, স্বপ্ন আর ভালোবাসা নিয়ে ‘ব্যালেড' আঙ্গিকের গান আজও মুগ্ধ করে অসংখ্য সংগীতানুরাগীদের৷

এলভিস অ্যারোন প্রেসলির জন্ম ১৯৩৫ সালে মিসিসিপির টিউপেলো শহরে৷ ছোটবেলা থেকেই স্কুলের বৃন্দ গানে অংশ নিয়েছেন নিয়মিত৷ দশ বছর বয়সে একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেন তিনি এবং এর পর পরই মায়ের কাছ থেকে উপহার পান একটি গিটার৷ ৪৮ সালে বাবা-মায়ের সাথে চলে আসেন মেম্ফিসে৷ হাই স্কুল পাশ করার পর বিভিন্ন ধরণের কাজ করেছেন এলভিস, পাশাপাশি চলেছে তাঁর গিটার চর্চা৷ ৫৩ সালে মাকে উপহার দেয়ার জন্য চার ডলার দিয়ে প্রথম তাঁর নিজের রেকর্ড বের করেন৷ এই রেকর্ডের মধ্য দিয়েই এই কোম্পানির মালিক ‘রোকাবিলি' সংগীতের অনুরাগী সেম ফিলিপের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং তিনি এলভিসকে নিয়ে বেশ কিছু সংগীত রেকর্ড করেন - যা আঞ্চলিকভাবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে৷ এর কিছুকাল পরই সংগীত অনুরাগী টম পার্কার এলভিসের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷

একমাত্র ক্যানাডায় তিনটি শো ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোনো কনসার্ট না করে শুধু ছায়াছবি ও তাঁর অ্যালবামের মধ্য দিয়েই বিশ্বের আনাচে-কানাচে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এলভিস প্রেসলি৷

‘দ্য বিটলস' থকে শুরু করে বহু খ্যাতিমান গোষ্ঠী ও সংগীত শিল্পীর আদর্শ এলভিস৷ তিনিই একমাত্র সংগীত শিল্পী যিনি একসঙ্গে ‘রক অ্যান্ড রোল', ‘রোকাবিলি', ‘কান্ট্রি' ‘ব্লুস' এবং ‘গোসপেল' - এই পাঁচটি ‘হলস অফ ফেম'-এ অভিষিক্ত হয়েছেন৷ তিনবার গ্র্যামি পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন তিনি৷

দীর্ঘ দিন অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের ফলে ১৯৭৭ সালে মাত্র ৪২ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বিংশ শতাব্দির রক-পপ সংস্কৃতির আইকন ‘দ্য কিং' এলভিস প্রেসলি৷

প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য