সংক্রমণ বাড়ায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লকডাউন
২১ মে ২০২১ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানান, শুক্রবার থেকে উখিয়া ও টেকনাফের এ পাঁচ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে; যা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে৷ " চিকিৎসা ও খাদ্যসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব ধরনের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে৷''
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অবরুদ্ধ ক্যাম্পগুলোতে দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোর কার্যক্রমও সীমিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে৷ ‘লকড ডাউন' ঘোষণা করা হয়েছে উখিয়ার ২- ডব্লিউ, ৩, ৪, ১৫ এবং টেকনাফের ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে৷
সামছু-দৌজা বলেন, মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে, যা গতবছরের প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে আশঙ্কাজনক৷
"এ প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বেশি থাকা ক্যাম্পগুলোতে লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷''
প্রশাসনসহ রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোকে করণীয় সম্পর্কে জানানো হয়েছে ৷ কক্সবাজার, টেকনাফ আর উখিয়ায় ৩৪টি ক্যাম্প মিলিয়ে মোট সাড়ে ৬ হাজার একর জমিতে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা গাদাগাদি করে বসবাস করছে৷ সেখানে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো না গেলে পরিস্থিতি যে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেবে শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে এমন উদ্বেগ ছিল৷
বাংলাদেশে গতবছর মার্চের ৮ তারিখ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ৩৭ দিনের মাথায় কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো একজন রোহিঙ্গার শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে ৷
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক শাখার সমন্বয়ক ডা. তোহা ভূঁইয়ার তথ্য মতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এ পর্যন্ত মোট ৮৬৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৩ জন মারা গেছেন ৷ এ পর্যন্ত ক্যাম্পগুলোতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ হাজার ৪৭৭ জনের ৷ আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৬৩৯ জন৷ আইসোলেশনে রয়েছে ২১১ জন ৷ গত ৩-৪ মাস ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোসহ কক্সবাজার জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার গত এক বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান তোহা৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)