1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংক্রমণের ঝুঁকি

মার্ক এরাট/এসবি২৭ জুলাই ২০১৫

মানুষ হাসপাতালে যায় রোগ নিরাময়ের আশায়৷ কিন্তু সেখানে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিও কম নয়৷ জার্মানির এক হাসপাতাল সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বেশ কিছু অভিনব পদক্ষেপ নিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1G59p
Symbolbild HIV-Virus
ছবি: picture-alliance/AP Photo/C. Goldsmith

জার্মানির ইয়েনা শহরের বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ১,৩০০ রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে৷ ২০১২ সাল থেকে সেখানে সংক্রমণ ও হাইজিন সংক্রান্ত একটি গবেষণা কেন্দ্র সক্রিয় রয়েছে৷ জার্মানির অন্য কোনো হাসপাতালে এই দু'টি বিষয়ের এমন মেলবন্ধন নেই৷ সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ মাটিয়াস প্লেৎস এই কেন্দ্রের প্রধান৷ ওষুধ ও পরিচ্ছন্নতার সুনির্দিষ্ট প্রয়োগের মাধ্যমে জীবাণুর প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি৷

হাইজিনের দায়িত্বে রয়েছেন কনি গ্যোলিৎস৷ নার্স হিসেবে তাঁর দায়িত্ব হাসপাতালে জীবাণুর প্রসার প্রতিরোধ করা৷ মাটিয়াস প্লেৎস দৈনিক টহলে বেরোন৷ রোগের প্যাথোজেন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি প্রতিনিয়ত পথ খুঁজে চলেছেন৷ সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ হিসেবে মাটিয়াস প্লেৎস-এর হাসপাতালের জীবাণু সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রয়েছে৷ তিনি নিয়মিত ভিজিটে বেরিয়ে ডাক্তারদের পরামর্শ দেন৷ সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ মাটিয়াস প্লেৎস বলেন, ‘‘প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, পুরোপুরি এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে না৷ রেজিস্টেন্স দেখা দিলে হাতের পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে, রোগীদের পরীক্ষা করে প্রয়োজনে তাদের বিচ্ছিন্ন করে প্রসার রুখতে হবে৷''

কনি গ্যোলিৎস বলেন, তিনি দিনে কমপক্ষে ১০০ বার নিজের হাত ডিস-ইনফেক্ট করেন৷ কাজের রুটিন তো বটেই, জিবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটা অপরিহার্য৷ কনি আইসিইউ-তে হাইজিন পরীক্ষা করেন৷ এখানকার রোগীরা তাঁদের কঠিন রোগের কারণে সহজেই সংক্রমণের শিকার হতে পারেন৷ এখানে এক রোগীর শরীরে মাল্টিরেজিস্টেন্ট ইন্টেস্টাইন ব্যাকটেরিয়া রয়েছে৷ বিশেষ সুরক্ষার পোশাক এখানে বাধ্যতামূলক৷ কেউই নিয়মের ঊর্ধ্বে নয়৷ কনি বললেন, শুধু ভিজিটরদের অ্যাপ্রন পরতে হবে, কারণ শুধু ঘরের মধ্যেই কাজ সারতে হবে৷

অ্যাপ্রন পরে, মুখ ঢেকে, গ্লাভস পরলে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়৷ তাছাড়া হাইজিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই টিম যাতে নতুন করে ঘরে জীবাণু আনতে বা সেখান থেকে নিয়ে যেতে না পারে, তার জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ৷ সাফাই কর্মীরা ঠিকমতো পরিষ্কার করেছে কিনা, তার পরীক্ষা চলে৷ চোখের আড়ালের জায়গাগুলিও বাদ দিলে চলবে না৷ মসৃণ সারফেসের উপর জীবাণু বাসা বাঁধতে ভালোবাসে৷ তবে হাতের মাধ্যমেই তারা সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ে৷ কনি গ্যোলিৎস বলেন, ‘‘আমরা এমন জীবাণু খুঁজছি, যেগুলি মুখ, নাক বা গলায় পাওয়া যায়, যা কর্মীদের মাধ্যমে হাতে-হাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ তাই হাতের হাইজিন আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ দিনে একশ' থেকে ২০০ বার আমি সে কথা মনে করিয়ে দেই৷''

ইয়েনার হাসপাতালে হাইজিনের মানদণ্ড গোটা জার্মানিতে সবচেয়ে কড়া বলে পরিচিত৷ কনি গ্যোলিৎস-এর জন্য এর অর্থ সর্বদা সজাগ থাকা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান