শেয়ার বাজার তারল্য সংকটের শিকার: লালি
২৮ জুন ২০১২শেয়ার বাজার এখন সূচকের দিক দিয়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে৷ আর এই পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বাজারের বাইরে চলে যাচ্ছেন৷ আরো অনেকে আছেন যারা তাদের শেয়ার বিক্রি করতে পারলে বাজার ছেড়ে দেবেন৷ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডন্ট আহমেদ রশিদ লালি ডয়চে ভেলেকে বলেন, এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তারল্য সংকটের কারণে৷ শুধু শেয়ার বাজার নয়, পুরো অর্থনীতিই এখন এই সংকটের মধ্যে রয়েছে৷ আর এটি ঠিক করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে৷ দীর্ঘদিন ধরে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে অর্থনীতি এখন প্রায় স্থবির হওয়ার পথে৷
তিনি বলেন, শেয়ার বাজারকে কখনোই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা চাঙ্গা করতে পারেনা৷ কারণ তারা বাজারের মূল নিয়ামক নয়৷ বাজারের মূল নিয়ামক হল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা৷ কিন্তু তারা বাজারে আসছে না৷ কারণ তারাও তারল্য সংকটের শিকার৷
তবে তিনি মনে করেন সামনে শেয়ার বাজারের জন্য সুখবর আছে৷ এজন্য বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে৷ সামনে নতুন ৫০টি কোম্পানি শেয়ার বাজারে আসবে৷ দীর্ঘ মেয়াদে বাজেটের কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়বে৷ আর সরকার শেয়ার বাজারের জন্য যেসব প্রণোদনার কথা বলেছে তাও ধীরে ধীরে দেয়া হবে৷
আহমেদ রশিদ লালি বলেন তবে শর্ত আছে৷ শেয়ার বাজারের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশের প্রেক্ষাপটে ও বাস্তবতার নিরিখে৷ বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার জন্য যেন শেয়ার বাজার তাদের শর্ত অনুযায়ী কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মুখে না পড়ে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক