বাড়ছে সংঘর্ষ
৯ এপ্রিল ২০১২জাতিসংঘের বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার৷ এর মধ্যে সিরিয়ার পরিস্থিতির কোনো অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম৷ কেননা শেষ মুহূর্তে এসে সিরিয়া দুটো শর্ত জুড়ে দিয়েছে৷ এর একটি হচ্ছে, হামলা বন্ধ করবে বিদ্রোহীদের কাছ থেকে এমন লিখিত নিশ্চয়তা চেয়েছে সরকার৷ আর অন্যটি হলো, বিদেশি রাষ্ট্রগুলো বিদ্রোহীদের অর্থ সাহায্য দেবে না – এই মর্মে অঙ্গীকার করতে হবে৷ ইতিমধ্যে ‘ফ্রি সিরিয়া আর্মি’ নতুন শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে৷ সংগঠনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্নেল রিয়াদ-আল-আসাদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘‘কোফি আনানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ, এবং এটা যে আমরা করছি সেটা আমরা আন্তর্জাতিক বিশ্বকে দেখাবো, সিরিয়ার বর্তমান সরকারকে নয়৷''
আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
সিরিয়ার এই নতুন পদক্ষেপের সিদ্ধান্তের পর চীন একটি বিবৃতিতে কোফি আনানের প্রস্তাব মেনে চলার জন্য সিরীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷ বিদ্রোহীদের প্রতিও একই আহ্বান জানিয়েছে চীন৷ এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশ্টন বলেছেন, শেষ মুহূর্তে এসে সিরিয়ার এমন শর্ত অগ্রহণযোগ্য৷ আর তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসি করু মনে করছেন, এর ফলে বেঁধে দেয়া সময়সীমার যে চুক্তি সেটাই বাতিল হয়ে গেল৷
কোফি আনান
সিরিয়ার নতুন শর্ত সম্পর্কে তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি৷ তবে সিরিয়ায় বেড়ে চলা সংঘর্ষকে তিনি ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেছেন৷ এদিকে, সরকারি নির্যাতনের ভয়ে সিরিয়া ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের দেখতে কোফি আনান মঙ্গলবার তুরস্ক যাচ্ছেন বলে জানা গেছে৷
সংঘর্ষ
স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে হামা প্রদেশে সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় সোমবার ৩০ জন নিহত হয়েছেন৷ যার মধ্যে ১৭ জন শিশু ও আটজন নারী রয়েছেন৷ এর আগে শনি ও রবিবার প্রায় ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন বার্তা সংস্থা৷ এদিকে লেবানন-সিরিয়া সীমান্ত এক লেবানিজ টিভি ক্যামেরাম্যান নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন