চলছে ভোটগ্রহণ
৬ নভেম্বর ২০১২অ্যামেরিকা বিশাল দেশ, একাধিক টাইম জোন৷ ফলে পূর্ব উপকূলে সকাল হওয়ার পর সেখানে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে৷ তারপর একে একে বাকি এলাকাতেও ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খুলে যাচ্ছে৷ প্রায় ১২ কোটি ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন৷ তাঁদের মধ্যে কোথায়, কোন শিবিরের, কতজন ভোট দিতে যাবেন, তার উপরও নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করবে৷ দুই প্রার্থীর প্রতিনিধিরা তাঁদের সমর্থকদের ফোন করে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যাতে তাঁরা ভোট দিতে ভুলে না যান৷ আবহাওয়া মোটামুটি ভালো৷ তবে বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও শীতল বাতাস বইছে অনেক অংশে৷ বিশেষ করে পূর্ব উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘স্যান্ডি’-র ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকার মানুষকে শীতের মধ্যেও ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে৷
এবার শুধু অপেক্ষার পালা৷ ভোটারদের মন জয় করার সব উদ্যোগের শেষে দুই প্রার্থীই ক্লান্ত৷ জনমত সমীক্ষায় দুই প্রার্থীই প্রায় সমান মাত্রায় সমর্থন পাচ্ছেন৷ যদিও শেষ পর্যন্ত ব্যালট বাক্স ও প্রতিটি রাজ্যের ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’-ই নির্বাচনের ফলাফল স্থির করবে৷ এই অবস্থায় কত দ্রুত স্পষ্ট ফলাফল পাওয়া যাবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন৷ বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন, না মিট রমনি অ্যামেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন, ভোটের ফারাক কম হলে তা জানতে কয়েক সপ্তাহ গড়িয়ে যেতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন৷ ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান’রা জটিল আইনি প্রক্রিয়ার জন্যও প্রস্তুত রয়েছে৷
বিশেষ করে প্রচারের সময় উইসকনসিন, ওহায়ো ও আইওয়া রাজ্যের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছেন দুই প্রার্থী৷ আইওয়া রাজ্যে প্রচার অভিযানের শেষে ভোটারদের উদ্দেশ্যে ওবামার বার্তা ছিল একটাই৷ তিনি বলেন, ‘‘শেষ বারের মতো আমি আপনাদের ভোট চাইতে এসেছি৷ যা শুরু করেছিলাম, তা শেষ করতে আপনাদের সাহায্য প্রার্থনা করতে এসেছি৷ কারণ এখান থেকেই আমাদের পরিবর্তনের আন্দোলন শুরু হয়েছিল৷’’ অন্যদিকে নিউ হ্যাম্পশায়ারে শেষ সভায় রমনি বলেন, ‘‘আমাদের নতুন সূচনার জন্য একটি মাত্র দিন বাকি’’৷
দুই প্রার্থীর মধ্যেই অভিনবত্ব কম নয়৷ ৫১ বছর বয়স্ক ওবামা অ্যামেরিকার প্রথম আফ্রিকান-অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট৷ অন্যদিকে ৬৫ বছর বয়স্ক রমনি নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন মর্মোন খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের প্রথম প্রেসিডেন্ট৷ ধনসম্পদের বিচারেও তিনি প্রায় রেকর্ড সৃষ্টি করতে পারেন৷
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি কংগ্রেস বা সংসদের দুই কক্ষেও ব্যাপক রদবদল ঘটতে পারে এই দিনে৷ অর্থাৎ যিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন না কেন, তাঁকে কংগ্রেস-এর ক্ষমতার উপর নির্ভর করতে হবে৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)