1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা

সমীর কুমার দে, ঢাকা২৬ জুলাই ২০১৬

‘‘ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহে ৯-১২ ঘণ্টা ক্লাস করে৷ বাকি সময় তারা কাটায় বাড়িতে, বন্ধুদের সঙ্গে, খেলার মাঠে৷ কেউ কেউ মসজিদে যায় নামাজ পড়তে৷ তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ভূমিকা থাকলেও, জঙ্গিবাদ দমনের এটা একমাত্র জায়গা নয়৷''

https://p.dw.com/p/1JVg9
প্রফেসর আতিকুল ইসলাম
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলামছবি: privat

ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করে ১৯৭৩ সালে সেখানেই অধ্যাপনা শুরু করেন তিনি৷ এরপর ১৯৭৫ সালে পিএইচডি করতে চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়৷ সেই থেকে গত ৪০ বছর অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন৷ মাঝে এক বছরের জন্য গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডেয তবে গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি আবারো তিনি যোগ দিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে, উপাচার্য হিসেবে৷ প্রবীণ এই শিক্ষক বলেন, ‘‘আমিও শুনেছি, প্রার্থনার রুমগুলোতে নামাজের পর কেউ কেউ আরো কিছুটা সময় থেকে গিয়ে এ সব কথাবার্তা প্রচার করত৷ এমনকি লাইব্রেরিতে কিছু আপত্তিকর বই ছিল বলেও কয়েকজন আমাকে জানিয়েছেন৷ তবে আমি আসার আগেই সেই বইগুলো সরানো হয়ে গেছে৷''

ডয়চে ভেলে: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়৷ এই প্রতিষ্ঠানের কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিককালে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে৷ সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিচ্ছে?

আতিকুল ইসলাম

প্রফেসর আতিকুল ইসলাম: যাদের ওপর অভিযোগগুলো আছে, তারা কিন্তু আমাদের বর্তমান ছাত্র নয়৷ এদের একজন ২০১২ সালে মালয়েশিয়াতে চলে যায়, মাত্র তিন সেমিস্টার করে৷ ওখানে গিয়েই সম্ভবত সে জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িয়েছে৷ কিন্তু সে তো আর ফিরে আসেনি৷ এমন একটার পর একটা ঘটনা বলতে পারব৷ তবে যেসব ছাত্র-শিক্ষকের নাম এসেছে, তাঁদের একজনও বর্তমান সময়ে এখানে নেই৷ তাই যে পদক্ষেপগুলো আমরা নিয়েছে, তা খুবই সাধারণ৷ এ সব ঘটনার সঙ্গে আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম না আসলেও আমরা সেটা করতাম৷ যেমন কোনো ধরনের জঙ্গি মিটিং যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে না হয়৷ আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, আমাদের ক্যাম্পাসে এই ধরনের কোনো তৎপরতা নেই৷ আমরা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি৷ এর সঙ্গে আমরা এটাও দেখব যে, আমাদের ক্যাম্পাসে কেউ যেন কোনো ধরনের প্রচারণা চালাতে না পারে৷ এর জন্য সিসিটিভি বাড়ানো হয়েছে৷ নজরদারি শক্তভাবে করা হচ্ছে৷ এছাড়া আমরা আরেকটা কাজ করতে যাচ্ছি...সেটা হলো, প্রতি ২০ জন ছাত্রের জন্য একজন শিক্ষককে সংযুক্ত করতে চাই আমরা৷ যাতে তিনি ক্যাম্পাসের বাইরেও যে শিক্ষার্থীদের আরো একটা জীবন আছে, সে সম্পর্কে জানে৷ সে বন্ধুর মতো, দার্শনিকের মতো অথবা ছাত্রদের ‘গাইড' হিসেবে কাজ করবে৷ তাঁর সংস্পর্শে থাকলে আমরাও বুঝতে পারব যে, পড়ুয়াদের মতিগতিতে কোনো পরিবর্তন আসছে কিনা৷ আমরা মনে করি, একটি ছেলেও যদি মৌলবাদের পথে যায় সেটা আমরা মেনে নেব না৷ সেজন্য আমরা নিশ্ছিদ্র একটা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলছি, যাতে করে এ ধরনের ঘটনা না ঘটতে পারে৷

এ তো গেল বর্তমান সময়ে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, তা নিয়ে ব্যবস্থা৷ তবে এর আগেও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানা সময়ে নানা কথাবার্তা এসেছে৷ তখন কী ধরনের ব্যবস্থা আপনাদের ছিল?

ব্যবস্থা তখনও ছিল৷ আমাদের ‘মনিটরিং' খুবই শক্তিশালী৷ বিশ্বাস করি না যে, আমাদের এখন থেকে কেউ মৌলবাদের পথে গেছে৷ বহু আগে প্রার্থনার রুমগুলোতে নামাজের পর থেকে কেউ কেউ এ সব কথাবার্তা প্রচার করত৷ তবে বছর তিনেক আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রার্থনা রুম নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে৷ এখানে কোনো পেশাদার ইমাম সাহেব বা মুয়াজ্জিন নেই৷ আমাদের কথায়, তোমরা একটি নির্দিষ্ট সময় আসবা, নামাজ পড়ে বের হয়ে যাবা৷ এছাড়া প্রার্থনা রুমে সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে৷ আর এগুলো আমি ভিসি হওয়ার আগেই হয়েছে৷ আমি এখানে এসেছি চার মাস আগে৷ লাইব্রেরিতে কিছু আপত্তিকর বই ছিল বলে কেউ কেউ আমাকে একটা সময় জানিয়েছিল৷ কিন্তু আমি আসার আগেই সেই বইগুলো সরানো হয়৷ এর পাশাপাশি একটা ‘ক্যাটালগ' তৈরি করা হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে যে এখনে ঐ ধরনের কিছু নেই৷ আমাদের দেশে ধর্মের ওপর খুবই কম বই রয়েছে৷ আর এখানেও রাজনৈতিক প্রপাগান্ডামূলক কোনো বই নেই৷ আমি এসে অন্তত পাইনি৷

আপনি গত চার মাস আগে এখানের দায়িত্ব নিয়েছেন৷ এর মধ্যে পাঠ্যক্রমে কোনো ধরনের ধর্মান্ধতার বিষয়ে কিছু আপনার চোখে এসেছে কি?

না৷ আমাদের এখানে ১২৫টি ক্রেডিট পয়েন্ট লাগে ছেলে-মেয়েদের গ্রাজুয়েশন করতে বা স্নতক হতে৷ এর মধ্যে ৫১ পয়েন্ট হলো সাধারণ শিক্ষা, যা কিনা সব শিক্ষার্থীর জন্যই বাধ্যতামূলক৷ এগুলোর মধ্যে বাংলার সংস্কৃতি, বাংলা ইতিহাস এগুলো রয়েছে৷ সব ধরনের ধর্মের বিষয়ই সেখানে আছে৷ এবং সেটা অত্যন্ত সহিষ্ণুভাবে পড়ানো হয় এখানে৷ এছাড়া অন্যান্য সাধারণ শিক্ষা আছে৷ কাজেই আমি পাঠ্যক্রমে তেমন খারাপ কিছু দেখি না৷ আমাদের মতো এত সাধারণ শিক্ষা-ব্যবস্থা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই৷ এর পাশাপাশি আমাদের এখানে পাঁচটি ক্লাব আছে, যেখানে নাচ, গান, ড্রামা, ডিবেটসহ উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা দেয়া হয়৷ এটা একটা অত্যান্ত ‘হেল্দি' বা সুস্থ ক্যাম্পাস৷

এটা তো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস, তাই না?

হ্যাঁ৷ আসলে আমি আশ্চর্য হয়েছি যে, আমাদের এখানে কেউ এ ধরনের তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে৷ অথচ আগে মাদ্রাসায় যেটা হতো, এখন সেটা হচ্ছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোয়৷ এর কারণ হলো – মৌলবাদ এখন একটা বৈশ্বিক সমস্যা৷ যে কোনো বিশেষজ্ঞই বলবে এটা৷ এই যেমন, ছেলেরা যদি বাড়িতে গিয়ে দরোজা বন্ধ করে নিজের ল্যাপটপটা নিয়ে বসে সার্চিং করতে করতে কোনো একটা সন্ত্রাসী সাইট খুলে বসে বা ভিডিও দেখে, তবে তারা জঙ্গিবাদের ‘ভিক্টিম' হয়ে যেতে পারে৷ তারপর এ সব বিষয় নিয়ে তারা ফ্যামিলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে না৷ ফলত এটা তাদের ভেতরে থাকে এবং সেটা বাড়তে থাকে৷

এই যে বাড়ার প্রবণতা, সেটা আমরা কমাতে পারছি না কেন?

কারণ আপনার ছেলে তো আপনাকে বলছে না যে, সে কী করছে৷ তাই আমার মতে, জঙ্গিবাদের প্রবণতা যদি কমাতে হয়, তবে আপনাকে আপনার সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে, তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে হবে৷ অথচ বেশিরভাগ অভিভাবকরাই মনে করেন, ‘আমি ছেলেকে হোস্টেলে দিয়ে দিয়েছি, আমি খরচ দিচ্ছি, সুতরাং আমার ছেলে লেখাপড়া করছে৷ সে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াবে না৷' অথচ ছেলে কখন বাড়ি আসছে, আদৌ আসছে কিনা, কার সঙ্গে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে – এ সব বিষয়ে তাঁরা খেয়ালই রাখেন না৷ একটা ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহে মাত্র ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা ক্লাস করে৷ বাকি সময়টা তারা বাড়িতে, বন্ধুদের সঙ্গে অথবা খেলার মাঠে কাটায়৷ কেউ কেউ আবার মসজিদে যায় নামাজ পড়ার জন্য৷ তাহলেই দেখুন, বিশ্ববিদ্যালয় তো একমাত্র জায়গা নয় যে সেখান থেকে এটা বন্ধ করা যাবে৷ তবে হ্যাঁ, জঙ্গিবাদ বন্ধে বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্যই একটা ভূমিকা আছে৷

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতি সংগঠন বা সংস্কৃতিক পরিবেশ কেমন?

খুবই শক্তিশালী৷ আমাদের ‘সাংস্কৃতিক সংগঠন' নামেই একটা সংগঠন আছে৷ সেখানে শিক্ষার্থীরা যে স্তরে ‘প্রোডাকশন' করে, তা দেখে আমি আশ্চর্য্য হয়ে গেছি৷ ওদের কাজের মধ্যে সুন্দর ‘ম্যাসেজ' থাকে, ব্যঙ্গ থাকে৷

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ এসেছে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার বা উপদেষ্টা হওয়ার৷ তাঁদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? আর সেটা হয়ে থাকলে, এরপরও এদিকটায় নজর দেয়ার ব্যাপারে কোনো গাফিলতি কি থেকে গেছে?

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ এ কথা সকলেই স্বীকার করে, করবে৷ সব শিক্ষক এ ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত না৷ শেষ নাম আসার ঘটনা....সেটাও তো ৩-৪ বছর আগে৷ নতুন করে তো আর কারো নাম আসছে না৷

কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যেরও নাম এসেছে৷ তাঁর বাসাতেই তো এরা ভাড়া ছিল, তাই না?

উপ-উপাচার্যের ‘ভার্সন' অনুযায়ী, ওটা তাঁর বাসা নয৷ ওনার স্ত্রীর বাসা ওটা, যা কিনা ম্যানেজ করে একজন ম্যানেজার৷ উনি নাকি ঐ বাসায় যেতেনও না৷ তবে এটা নিয়ে আমার পক্ষে এর বেশি কথা বলা মুশকিল৷ এটুকু বলতে পারি যে, বিষয়টি এখন আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যেই এগুচ্ছে৷

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বিগ্নতা দেখা দিয়েছে৷ তাঁদের প্রতি আপনার আহ্বান কী?

তাঁদের সঙ্গে আমরা চারটা মতবিনিময় সভা করেছি৷ প্রত্যেকটা সভাতে এক হাজার করে লোক অংশ নিয়েছে৷ ১২ থেকে ১৪ হাজার লোক অনলাইনে এটা দেখেছে৷ এই মতবিনিময় সভাগুলো সুদীর্ঘ হয়েছে৷ একেকটি তিন ঘণ্টা ধরে হয়েছে৷ তার মধ্যে দেড় ঘণ্টা আমরা প্রশ্ন-উত্তর দিয়েছি৷

অভিভাবকদের কী ধরনের প্রশ্ন ছিল আপনাদের কাছে?

অভিভাবকরা কিন্তু আমাদের অভিযুক্ত করে কোনো প্রশ্ন করেননি৷ বরং তাঁরা আমাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত যে, আমাদের বিরুদ্ধে যে ধরনের প্রচারণা হয়েছে, সেটা ‘ব্যালান্সড' হয়নি৷

গুলশানের ঘটনায় হাসনাত রেজা করিমের নাম এসেছে৷ অথচ তারপরেও তাঁর নাম নর্থ সাউথের ওয়েবসাইটে শিক্ষক লিস্টে রয়েছে...৷

থাকতে পারে না৷ আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়েছি৷ কোনো কোনায় একটা নাম পড়ে থাকতে পারে৷ কিন্তু উনি পদত্যাগ করেছেন ২০১২ সালের আগস্ট মাসে৷ এরপর তাঁর সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই৷ আমি আশা করেছিলাম সাংবাদিক বন্ধুরা আমাদের জানাতে পারবেন যে, ঐ ঘটনার আগের রাতে তিনি কোথায় ছিলেন? চারদিন আগে তিনি কী করছিলেন বা ছ'মাস আগে তিনি কোথায় ছিলেন? কিন্তু আমরা এ সম্পর্কে কোনো খবর পেলাম না৷ বারবার বলা হলো, তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক৷ সাবেক শিক্ষক কথাটাও অনেকে ঠিকমতো বলেননি৷ ২২ হাজার ছাত্রের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো একজন ছাত্র যদি এই ঘটনায় সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে আপনি সবাইকে অভিযুক্ত করতে পারেন না৷ বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের যে ঘটনা ঘটছে, তার দু'টো দিক আছে৷ এক, আমাদের এখনই এ সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রতিরোধ করতে হবে এবং দুই, প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ‘আইডোলজিক্যাল ওয়ার্ক' করতে হবে৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতি আপনার আহ্বান কী?

নর্থ সাউথ খুবই ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ মৌলবাদ আমাদের পথ না৷

আপনি কি প্রফেসর আতিকুল ইসলামের সঙ্গে একমত? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান