শিয়াওবোকে নোবেল প্রদানের অনুষ্ঠান নিয়ে বিভক্ত বিশ্ব
১০ ডিসেম্বর ২০১০অনুষ্ঠানে থাকছেন না নেভি পিল্লাই
অসলোতে আজকেই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে চীনের বিরুদ্ধবাদী মানবাধিকার কর্মী লিউ শিয়াওবোকে৷ বর্তমানে চীনে কারাবন্দি আছেন এই শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা৷ চীন সরকার তাঁকে অসলো আসার অনুমতি দেয়নি৷ এমনকি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকেও সেখানে যোগ না দেবার জন্য চাপ দিচ্ছে সেদেশ৷ জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার নেভি পিল্লাইও এই অনুষ্ঠানে যোগ না দেবার কথা জানিয়েছেন৷ ধারণা করা হচ্ছে, চীনের চাপের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি৷ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ২৪টি মানবাধিকার গোষ্ঠী নেভি পিল্লাইকে অনুষ্ঠানে যেতে আবেদন জানিয়েছেন৷
থাকছে না ২০ দেশ
রাশিয়া, কিউবা, ভেনিজ্যুয়েলাসহ ২০টি দেশ নোবেল শান্তি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে৷ এসব দেশের অধিকাংশের সঙ্গেই চীনের বাণিজ্যগত সুদৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে৷ নোবেল কমিটির প্রধান থরবোয়েন জাগল্যান্ড অবশ্য জানিয়েছেন, আমন্ত্রিতদের দুই-তৃতীয়াংশ শুক্রবারের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ তাছাড়া এই শান্তি পুরস্কার বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নয় বলেও আশ্বস্ত করেন জাগল্যান্ড৷ তিনি বলেন, এটা চীনের বিরুদ্ধে কোন পুরস্কার নয়৷ বরং চীনের মানুষকে সম্মান জানাতেই এই পুরস্কার৷
অসলোর চীনা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
আসলে শুক্রবার শুধু শান্তি পুরস্কার প্রদানের দিনই নয়, এই দিনটিকে জাতিসংঘ মানবাধিকার দিবস হিসেবেও উদযাপন করা হয়৷ দিনটিকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার অসলোর চীন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের আয়োজন করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ এসময় লিউর সমর্থনে এক লাখ মানুষের স্বাক্ষর করা একটি আবেদনও দূতাবাসের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করা হয়৷
উল্লেখ্য, চীনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যোদ্ধা, মানবাধিকারের অন্যতম পথিকৃৎ প্রবক্তা লিউ শিয়াওবো ২০০৯ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দি রয়েছেন৷ নোবেল জয়ের পর তাঁর মুক্তির আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ কিন্তু চীন সে আহ্বান আমলে নেয়নি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম