‘শিশু প্রহর' অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে দিল ভিন্ন মাত্রা
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২বইমেলা শুরুর তৃতীয় দিনই শুক্রবার৷ তাই এই ছুটির দিনে মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায়৷ আর শুরুটাই ছিল শিশু প্রহর৷ আর এই শিশু প্রহর চলে বিকেল পর্যন্ত৷ শিশুদের বইয়ের জন্য আলাদা কর্নার থাকলেও, তাতে কি! শিশুরা তাদের প্রহরে পুরো মেলাইটাকেই যেন তাদের করে নিয়েছে৷
শিশুরা যেমন রবীন্দ্রনাথের বই কিনেছে, তেমনি ছড়া আর কার্টুনের বইও বাদ যায়নি৷ রূপকথা আর ভূতের বইও ছিল শিশুদের কাছে সমান প্রিয়৷ তবে যারা একটু বয়ঃসন্ধিকালে, তারা পড়েছিল বিপাকে৷ শিশুদের বই কিনবে, না বড়দের - তা নিয়ে তাদের মহাচিন্তা৷ আর বই মেলায় শিশু কর্নারে ক্রেতা যেমন শিশু, বিক্রেতাও ছিল শিশু না হলেও কিশোর৷
মা-বাবা অথবা ভাই-বোনের সঙ্গে মেলায় আসে শিশুরা৷ তারাও গুরুত্ব দেন শিশুদের পছন্দকে৷ তারা জানান, শিশুদের আগ্রহের কথা৷ একজন প্রকাশকও জানান শিশুরা গল্প আর কার্টুনের বই বেশি পছন্দ করে৷ তবে তারা জানালেন, শিশুদের বইয়ের দাম কম হওয়া উচিত৷ কিন্তু প্রকাশনা ব্যয় বেড়ে যাওয়ায়, তারা দাম কমাতে পারছেন না৷ এজন্য তাদের খারাপ লাগে৷
তারপরও দেশে শিশুদের জন্য বইয়ের সংখ্যা কম৷ প্রকাশকরা বলেন, লেখকরা বড় জোর কিশোরদের জন্য ‘সায়েন্স ফিকশন' লেখেন৷ তাই প্রচলিত শিশুতোষ লেখাগুলোই নতুনভাবে বই মেলায় হাজির করা হয়৷ আর থাকে বিশ্বখ্যাত সব কার্টুনের অনুবাদ৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ