শিশু পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট
২০ মার্চ ২০১৪পরিচয় গোপন রেখে ব্যবহার উপযোগী ডার্কনেট-এর মাধ্যমে এই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করা যেত৷ সাইটটির গ্রাহক সংখ্যা ছিল প্রায় ২৭ হাজারের মতো৷ মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিই টিম পর্নোগ্রাফিতে ভরা এই ওয়েবসাইটটি বন্ধের পাশাপাশি, এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ভুক্তভোগী অনেকের সঙ্গে যোগাযোগে সক্ষম হয়েছে৷
মার্কিন কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কেউ কেউ নারী সেজে অনলাইনে তিন থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু, কিশোরদের সঙ্গে যোগাযোগ করতো৷ ভুক্তভোগী শিশু, কিশোরদের মধ্যে মার্কিন নাগরিক ছাড়াও আরো পাঁচটি দেশের নাগরিক আছে৷ জানা গেছে, ঐ ২৫১ জনের মধ্যে ২৩ জনের অবস্থান যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং বেলজিয়ামে৷
এর আগে কখনোই একটিমাত্র শিশু শোষণ বিষয়ক মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এতজন ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, জানান আইসিই-র উপ পরিচালক ড্যানিয়েল ব়্যাগ্সডেল৷
সাইটটির সঙ্গে সরাসরি জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত ১৪ জনের মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধে লুজিয়ানার আদালতে অভিযোগ আনা হয়েছে৷ মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই পর্ন-সাইটটির ২৭ হাজার গ্রাহকের মধ্যেও অনেককে আলাদা আলাদা মামলায় আসামি করা হচ্ছে৷ তবে ঠিক কতজন বা আদৌ কোনো গ্রাহককে এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা, তা জানায়নি তদন্ত দলটি৷ আইসিই সাইবার ক্রাইম সেন্টারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জেমস কিলপ্যাট্রিক বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিদেশে অবস্থানরত আরো অন্তত ৩০০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে৷
প্রসঙ্গত, আলোচিত এই ওয়েবসাইটটির মূল নিয়ন্ত্রক জোনাথন জনসনকে গত বছরের জুন মাসে লুজিয়ানা থেকে আটকে সক্ষম হয় কর্তৃটক্ষ৷ বর্তমানে জোনাথন কারাবন্দি অবস্থায় আছে৷ শিশু পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট পরিচালনার দায়ে তার ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷ স্বাভিকভাবেই, জানসনকে গ্রেপ্তারের পর সাইটটি পুরোপুরি ‘অফলাইন' করার পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িতদের এবং ভুক্তভোগীদের শনাক্ত করা সহজ হয়ে যায়৷
উল্লেখ্য, ডার্কনেটকে অনেকে তুলনা করেন অন্ধকারাচ্ছন্ন অনলাইন আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে৷ এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অস্ত্র, ড্রাগ বা পর্নোগ্রাফি বিষয়ক বিভিন্ন অবৈধ ওয়েবসাইটে পরিচয় গোপন রেখে প্রবেশ সম্ভব বলে ধারণা করা হয়৷
এআই/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)