শিরোপা না পেলেও অনলাইন ভক্তদের কাছে সেরা জার্মানি
১৬ জুলাই ২০১০সবুজ মাঠের লড়াইয়ে হারলে কি হবে, অন্তত অনলাইনের লড়াইয়ে তো এগিয়েছে জার্মানি৷ হয়তো এটুকু পাওয়াতেও কিছুটা সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন জার্মান ভক্তরা৷ তাছাড়া টপ স্কোরার হিসেবেও কিছুটা প্রাপ্তিতো রয়েছেই ডয়েচদের৷ অন্যদিকে, ফরাসি দলের খেলোয়াড়দের অভ্যন্তরীণ ঝামেলা তাদেরকে নামিয়ে দিয়েছে একেবারে নিম্নস্তরে৷
ফুটবল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে যখন চলছে প্রচণ্ড লড়াই, ঠিক তখনই ইন্টারনেটের পাতায় সমীক্ষা চালাচ্ছে অল্টারিয়ান পিএলসি৷ ভক্তদের জন্য দেওয়া হয় তিনটি পছন্দের সুযোগ৷ প্রতিটি দেশের নামের পাশে ছিল খুব খারাপ, খারাপ এবং খুব ভালো - এই তিনটি বোতাম৷ একজন ভক্ত যে কোন দেশের জন্য বেছে নিতে পারেন একটি বোতাম৷ এই সমীক্ষায় অংশ নেয় প্রায় বিশ লাখ ফুটবলপ্রেমী৷ আর সবচেয়ে সাড়া পাওয়া গেছে টুইটার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে৷ শুধুমাত্র টুইটার থেকেই অনলাইন ভক্তরা এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৪০ শতাংশ৷
অনলাইন ভক্তদের কাছে থেকে সর্বোচ্চ প্রশংসা পেয়েছে জার্মানি৷ বিশেষ করে মেসুট ওজিল, বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার এবং থমাস ম্যুলারের খেলায় যে নতুনত্ব এবং বৈচিত্র্য ছিল তা-ই নাকি সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে ভক্তদের, বলছেন বোদ্ধারা৷ বিশ্বকাপের শেষ দু'দিনেই জার্মানির পক্ষে ভোট পড়ে ৬৮ শতাংশ৷ তবে স্পেনও খুব পিছিয়ে নেই৷ পেয়েছে ৪৮ শতাংশ ইতিবাচক ভোট৷
অন্যদিকে, মাঠে খারাপ খেলা, দলের খেলোয়াড়দের সাথে কোচের গণ্ডগোল, এমনকি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দেশের শীর্ষ নেতার হস্তক্ষেপ - এসব মিলিয়ে ফুটবল প্রেমীদের কাছে সবচেয়ে খারাপ অবস্থান ফ্রান্সের৷ ফলে অনলাইন ভক্তদের কাছ থেকেও শোনা গেল নানান কটুক্তি আর সমালোচনা৷ সাথে বিশ্বকাপ ২০১০ এ অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সাড়া পেয়েছে যথারীতি ফ্রান্স৷ শেষমেষ মাত্র ২৮ শতাংশ ভোট জুটেছে ফ্রান্সের কপালে৷
গত বিশ্বকাপের রানার্স আপ ফরাসিদের কী করুণ অবস্থা এবার! একেই বোধহয় বলে আয়রনি!
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়