1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তিতে নোবেল

১২ অক্টোবর ২০১২

কোনো বিরুদ্ধবাদী নন, নন মুসলমান ও খ্রীষ্টানদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছেন এমন কোনো ধর্মীয় নেতা, নোবেল শান্তি পুরস্কারের এবারের ঠিকানা ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ নরওয়ের পাঁচ সদস্যের নোবেল কমিটি শুক্রবার এই ঘোষণা দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/16P7z
ছবি: Getty Images

একটা মহাদেশকে এক করার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখার জন্য ইইউ'কে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে, বলে জানিয়েছেন নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান টরবিয়র্ন ইয়াগলান্ড৷ তিনি ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ' এরও মহাসচিব৷

ইয়াগলান্ড বলেন, ইউরোপকে যুদ্ধের মহাদেশ থেকে শান্তির মহাদেশে পরিণত করতে ইইউ মূল ভূমিকা পালন করেছে৷ সাবেক দুই শত্রুদেশ জার্মানি আর ফ্রান্সকে এক করার মাধ্যমে ইউরোপে ভবিষ্যতে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পথ বন্ধ করেছে ইইউ, বলেন তিনি৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের পুনর্গঠনে এবং বার্লিন দেয়ালের পতনের পর ইউরোপে স্থিতিশীলতা আনয়নের ক্ষেত্রে ইইউ'র ভূমিকার প্রশংসা করেন ইয়াগলান্ড৷

ইইউ নোবেল পাওয়ায় বেশ খুশি জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর হেলমুট কোল৷ কেননা ইউরো চালুর মাধ্যমে ইউরোপকে একসূত্রে গাঁথার পেছনে তাঁর একটা জোরালো ভূমিকা ছিল৷ নোবেল কমিটির এই ঘোষণাকে তিনি ‘দূরদর্শী' সিদ্ধান্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন৷

Deutschland Helmut Kohl und Angela Merkel
সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট কোলের সঙ্গে বর্তমান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: AP

এই খবরে খুশি বর্তমান জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও৷ কেননা এই চরম ঋণ সংকটের সময়ে ইউরো'কে একক মুদ্রা হিসেবে চালু রাখার ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছেন তিনি৷ তাই ইইউ'র নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার খবরকে ম্যার্কেল একটি ‘চমৎকার সিদ্ধান্ত' বলে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি বলেন, ইউরো যে শুধু একক মুদ্রার চেয়েও বড় কিছু, তার পক্ষে একটা বড় সমর্থন হলো নোবেল কমিটির এই সিদ্ধান্ত৷

এদিকে, ইইউ প্রেসিডেন্ট হ্যারমান ফান রম্পয় বলছেন, এর ফলে ইইউ'কে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শান্তি প্রতিস্থাপনকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিলো নোবেল কমিটি৷

তবে যে দেশ থেকে শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা এসেছে সেই নরওয়ে কিন্তু ইইউ'র সদস্য নয়৷ সেখানকার অনেকেই মনে করেন, সদস্য রাষ্ট্রসমূহের স্বাধীনতার জন্য একটা হুমকি হলো ইইউ৷ এজন্য ইইউ সদস্য হতে নরওয়েতে এখন পর্যন্ত দু'বার গণভোট আয়োজিত হলেও দু'বারই জনগণ তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে৷

উল্লেখ্য, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য এবার ২৩১ জনকে মনোনীত করা হয়েছিল৷ ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এই পুরস্কার দেয়া হবে৷

জেডএইচ / এসবি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য