শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি
১৪ ডিসেম্বর ২০১১ভোরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা৷
বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের৷ শ্রদ্ধা জানান অন্যান্য রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনসহ সব শ্রেণির মানুষ৷ সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার চান৷ বিচার চান যুদ্ধাপরাধীদের৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকও দেশের শ্রেষ্ঠ সমন্তানদের যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার দাবি জানান৷
মিরপুর ও রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা৷ তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বিএনপি'র কিছু নেতার বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদকালেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে৷ তিনি আশা করছেন, যুদ্ধাপরাধের যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তার একটি ফলাফল এই সরকারের আমলেই পাওয়া যাবে৷ আর বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারাও যুদ্ধাপরাধীর বিচার চান তবে তা হতে হবে স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য৷
১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালির বিজয় যখন দুয়ারে তখন জাতিকে মেধাশূন্য করতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামসরা বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনক্সা বাস্তবায়ন করে৷ হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ বুদ্ধিজীবীদের৷ তাই ১৪ই ডিসম্বরকে বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক