1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরীর-মনের উপর সংগীতের প্রভাব

২০ অক্টোবর ২০১৭

সুখে-দুঃখে সংগীত আমাদের মনোরঞ্জন করে৷ সেইসঙ্গে শৈশব থেকেই শরীর ও মনের অনেক ক্রিয়ার উপরেও সংগীতের প্রভাব রয়েছে৷ চিকিৎসাবিদ্যার ক্ষেত্রেও সংগীতের সফল প্রয়োগ চলছে৷

https://p.dw.com/p/2mFr0
Deutschland Indien Gesang und Tanzprogramm an Tagore
ছবি: DW/A. Chakraborty

মানুষ কেন সংগীত ভালবাসে? – এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগে৷ আসলে আমাদের পরিবেশ সুরে ভরপুর৷ পাখিদের কলকাকলি৷ কথারও সুর আছে৷

মস্তিষ্ক ভাষার মতো সংগীত শুনেও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায়৷ কিন্তু সংগীত শোনার সময় মস্তিষ্কের সেই অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে, যেখানে আবেগ সৃষ্টি হয়৷ সে কারণেই সংগীতের এত বেশি প্রভাব রয়েছে৷

সদ্যোজাত শিশুরাও সংগীত শুনে যথেষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখায়৷ সেটা শুধু চোখে দেখা যায় না, হাতেনাতে প্রমাণ করা সম্ভব৷ সেই বয়সে শিশুরা মায়ের কণ্ঠ শুনলে তাদের লালায় স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ঘনত্ব কমে যায়৷

মস্তিষ্ক অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে পড়ে৷ সে কারণে যে সব শিশু সংগীত চর্চা করে, তারা অনেক সহজে ভাষা শিখতে পারে এবং নির্দিষ্ট বিষয় মনোযোগ দিয়ে শিখতে পারে৷

যে সব স্কুলে সংগীত চর্চা হয়, সেখানে শিশুরা সংঘবদ্ধ হয়ে ভালোভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে এবং পরস্পরের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷

সংগীত আমাদের শরীরে কী প্রতিক্রিয়া দেখায়, গবেষকরা তা পরীক্ষা করে দেখেছেন৷ সংগীত হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ ও পেশির টান বদলে দেয়৷ সেই সঙ্গে আমাদের শরীর আরও বেশি করে কিছু হরমোন নিঃসরণ করে৷

এই সব কারণে চিকিৎসাবিদ্যার ক্ষেত্রে সংগীতকে সফলভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ ব্যথা সহ্য করতে এবং স্নায়ুকোষগুলির মধ্যে নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন করতে সংগীত সাহায্য করে৷ তবে শুধু শারীরিক প্রয়োজনের কারণে নয়, সংগীত তার নিজস্ব গুণে বড়ই সুন্দর৷

মারিয়া লেসার/এসবি