‘বহু সাংস্কৃতিক' টয়লেট
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬শরণার্থীদের অনেকেই ইউরোপের ফ্লাশ-টয়লেট এর সঙ্গে পরিচিত নন৷ তাই তাঁরা হঠাৎ এমন টয়লেট দেখে বুঝে উঠতে পারেন না কীভাবে তা ব্যবহার করতে হবে৷ যদিও শরণার্থী কেন্দ্রের টয়লেটগুলোতে আরবি ভাষা এবং ছবি ব্যবহার করে নির্দেশনা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে৷ তবুও অনেক কেন্দ্রের টয়লেট ও গোসলখানার মেঝেতে মলমূত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে৷
বার্লিনে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থার কর্মী মানফ্রেড নোভাক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সব কেন্দ্রে এই সমস্যা না থাকলেও সমস্যাটা আছে৷ ব্যাপারটা নির্ভর করে ঐ কেন্দ্রের শরণার্থীরা কোন দেশ থেকে এসেছে তার ওপর৷''
‘বহু সাংস্কৃতিক' টয়লেট
সহজে বহন করা যায় এমন টয়লেট তৈরি করে জার্মান কোম্পানি ‘গ্লোবাল ফ্লিগেনশ্মিডট'৷ শরণার্থীদের সমস্যার সমাধান করতে তারা এক অভিনব টয়লেট তৈরি করেছে৷ কিছুদিন হলো সেটা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে৷ পশ্চিম ও পুব – এই দুই সংস্কৃতির মানুষ যেন একই টয়লেট ব্যবহার করতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷
শরণার্থীদের দেখভাল করছে এমন সংস্থার কয়েকটি ইতিমধ্যে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান কোম্পানির প্রধান পেটার ফ্লিগেনশ্মিডট৷ অবশ্য তিনি মনে করেন, এই যে ‘সমস্যা' সেটা সাময়িক৷ তাই এ ধরণের টয়লেটের প্রয়োজনও হবে সাময়িক৷ কিন্তু পেটার ফ্লিগেনশ্মিডট মনে করেন, তাঁদের নকশা করা এই বহনযোগ্য টয়লেটের চাহিদা বিশ্বের অন্য দেশগুলোতেও থাকবে, যেখানে নির্মাণকাজে অনেক পশ্চিমা নাগরিকও কাজ করেন৷
‘বহু সাংস্কৃতিক' টয়লেটের সত্যিই কি প্রয়োজন আছে? জানান নীচের ঘরে৷