‘‘লিবিয়ায় বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা’’
১৪ এপ্রিল ২০১৯এক টুইটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কমান্ডার খলিফা হাফতার এ মাসের শুরুতে ত্রিপোলি আক্রমণ শুরু করার পর কমপক্ষে ৫৬১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন৷ বর্তমানে লিবিয়ার দখলে রয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার৷
৫ এপ্রিল আক্রমণ শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহনও হাফতারের বাহিনীর ‘আক্রমণের' শিকার হয়েছে বলেও অপর একটি টুইটে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
এ সপ্তাহের শুরুতেই জাতিসংঘ জানিয়েছিল, সংঘর্ষের ফলে আট হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়েছেন৷
আইনের শাসন ‘আসছেই না'
হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও সশস্ত্র যোদ্ধাদের ওপর এ আক্রমণ শুরু করে৷ ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধাবস্থা চলে আসছে৷ ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার থাকলেও পূর্বাঞ্চল রয়েছে বিদ্রোহীদের দখলে৷
পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি ক্রমেই ২০১১ সালের মতো হয়ে উঠছে৷
২০১১ সালে গাদ্দাফির সরকার বিরোধীদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু করেন৷ তখন থেকেই অস্থিতিশীল লিবিয়ার পরিস্থিতি৷ ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহীরা শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা দখল করে এবং গাদ্দাফিকে হত্যা করে৷ কিন্তু তখন থেকে ত্রিপোলির ক্ষমতার লড়াইয়ে রয়েছে বিভিন্ন বিবদমান পক্ষ৷
গত বছর ত্রিপোলির ফায়েজ আল-সারাজের সরকার, হাফতার ও অন্য বেশকিছু বিদ্রোহী পক্ষের মধ্যে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি সমঝোতা হয়৷ ২০১৯ সালের শেষের দিকে সাধারণ নির্বাচনে রাজি হয় সব পক্ষ৷
কিন্তু এবার হাফতার বলছেন, ত্রিপোলি সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতায় তিনি হতাশ৷ এদিকে, হাফতারের বিরুদ্ধে ‘চুক্তিভঙ্গের' অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ-সমর্থিত ত্রিপোলি সরকার৷
১৯৬৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে গাদ্দাফিকে সহায়তা করেছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা খলিফা হাফতার৷ কিন্তু পরবর্তীতে গাদ্দাফির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয়৷ ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধে গাদ্দাফির সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে হাফতার ও তাঁর বাহিনী ছিল সামনের সারিতে৷
এডিকে/ (এএফপি, এপি)