1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় অভিবাসী আটক কেন্দ্রে হামলায় নিহত ৪০

৩ জুলাই ২০১৯

লিবিয়ায় একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন৷ আহত হয়েছেন অন্তত ৮০ জন৷ ওই কেন্দ্রে আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসন-প্রত্যাশীদের আটক রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা৷

https://p.dw.com/p/3LUhP
Libyen Luftangriff Tajoura Detention Center bei Tripolis
ছবি: Getty Images/AFP/M. Turkia

মঙ্গলবার রাজধানী ত্রিপোলির উপকণ্ঠে তাজৌরা এলাকায় বিমান হামলাটি হয়৷ ঘটনার জন্য জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি(এলএনএ)-কে দায়ী করা হলেও তারা তা অস্বীকার করেছে৷

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ঐক্যমতের সরকারকে সরিয়ে ত্রিপোলি দখলের জন্য তিন মাস আগে স্থলপথ ও আকাশে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে খলিফা হাফতারের বাহিনী৷  ওই সময়ের পর থেকে মঙ্গলবারের হামলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটলো বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম৷

এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চল থেকে নদীপথে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার প্রধান রুট লিবিয়া৷ এর মধ্য থেকে লিবিয়ার কোস্টগার্ডের হাতে যারা ধরা পড়েন তাদের রাখা হয়ে থাকে এসব অভিবাসন কেন্দ্রে৷

লিবিয়ার জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর মুখপাত্র মালেক মার্সেক জানান, আটক কেন্দ্রটিতে মোট ১২০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ছিল৷ হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত এবং ৮০ জন আহত হয়েছেন৷

মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ আর ওই আটক কেন্দ্রটির পাশে আছে একটি মিলিটারি ক্যাম্প৷

এক বিবৃতিতে এ হামলার জন্য সাবেক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)-কে দায়ী করেছে জাতিসংঘ সমর্থিত জাতীয় ঐক্যমতের সরকার (জিএনএ)৷

প্রকাশিত কিছু ছবিতে দেখা যায়, আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসীদের হাসপাতালে সার্জারি করা হচ্ছে৷ তাদের শরীর ধুলোমাখা এবং হাঁটু ব্যান্ডেজ করা ছিল৷

সম্প্রতি তাজৌরা এলাকায় জিএনএ অনুগত বাহিনীগুলোর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন এলএনএ৷ সোমবার এই লড়াইয়ে ‘ব্যাপক বিমান হামলার'  ঘোষণা করেছিল তারা৷  কিন্তু অভিবাসী কেন্দ্রে মঙ্গলবার হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছেন এলএনএ-র এক মুখপাত্র৷

এমবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য