লিবিয়ার বিদ্রোহীদেরকে অস্ত্র সাহায্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া
৩০ জুন ২০১১লিবিয়াতে গত জুন মাসের শেষ দিকে ফ্রান্স বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়েছে, সম্প্রতি ফ্রান্সের এই স্বীকারোক্তিতে আবারও সেদেশে বিদেশি শক্তির সক্রিয় হস্তক্ষেপের আশঙ্কা কী বাড়লো? উল্লেখ্য, জাতিসংঘে যে প্রস্তাবনার অধীনে লিবিয়াতে ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলো সামরিক অভিযান চালিয়েছে সেটা ছিল গাদ্দাফি বাহিনীর হাত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার উদ্দেশ্যে৷ মূলত এই কারণেই ন্যাটোকে কেবল বিমান বাহিনী ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেনাবাহিনী নয়, যাতে করে গাদ্দাফির বিমান বাহিনীর বিমানগুলো আর উড়তে না পারে৷ ফ্রান্সও সেই যুক্তি দেখিয়ে বলেছে, তারা বিদ্রোহীদের যেসব অস্ত্র দিয়েছে সেগুলো নিরীহ মানুষদের গাদ্দাফি অনুগত সেনাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই৷ এবং তারা জাতিসংঘের প্রস্তাবনার বাইরে যায়নি বলেই তাদের দাবি৷
বৃহস্পতিবার ন্যাটো মহাসচিব আন্ডের্স ফগ রাসমুসেনকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি জানিয়েছেন যা ঘটেছে তার সঙ্গে ন্যাটোর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই৷ এবং এই ধরণের সিদ্ধান্তের এখতিয়ার কেবল জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা কমিটিরই রয়েছে৷ অন্যদিকে ন্যাটোর অন্যতম দেশ ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী জেরাল্ড হাওয়ার্থ ফ্রান্সের সমালোচনা না করলেও বলেছেন, এটা আমাদের করার কথা নয়৷ অন্যদিকে আগে থেকেই লিবিয়াতে সামরিক অভিযানের ব্যাপারে আপত্তি ছিল চীনের৷ চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের প্রস্তাবনা অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে৷
এদিকে আজ আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতাদের বৈঠক শুরু হয়েছে৷ লিবিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির সমাধান সূত্র বের করতেই তারা বৈঠক করছেন৷ তবে আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান জঁ পিং ফ্রান্সের পক্ষ থেকে বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেছেন, এসব অস্ত্র সন্ত্রাসী ও চোরাকারবারীদের হাতে ব্যবহৃত হবে৷ লিবিয়ার বর্তমান নেতা গাদ্দাফির অনেক সমর্থক রয়েছে এখনও আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যে৷ তাদের অনেকে ন্যাটোর অভিযানের সমালোচনা করছেন৷ তবে গাদ্দাফির শাসনের অবসানও চাইছেন অনেক আফ্রিকান নেতা৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক