‘লাদেন হত্যার প্রথম প্রতিশোধ’ - পাকিস্তানে নিহত অন্তত ৮০
১৩ মে ২০১১আজ শুক্রবার সকালে এই ঘটনা ঘটে৷ গত ২ মে মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী আল কায়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে মার্কিন বাহিনীর ৪০ মিনিটের অভিযানে নিহত হবার পর এই প্রথম এত বড় বোমা হামলার ঘটনা ঘটলো৷
ঐ প্যারা মিলিটারি একাডেমির এক দল প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ শেষে ছুটিতে যাবার জন্য গেটের সামনে এবং সেখানকার বিভিন্ন বাসে অপেক্ষা করছিলেন, তখনই আত্মঘাতী এক বোমারু একটি মোটর সাইকেল চালিয়ে এসে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটায়৷ ঠিক একই সময়ে আরও একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী আরেক এক বোমারু৷
সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আক্রমণে অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছে৷ এদের মধ্যে ৬৫ জনই আধাসামরিক বাহিনীর নতুন নিয়োগকৃত সদস্য৷ তারা প্রশিক্ষণ শেষে দশ দিনের ছুটিতে নিজ পরিবারের কাছে যাচ্ছিলেন৷ এছাড়া আরো শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে৷ আহতদের পেশাওয়ারের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে৷
এই ঘটনার পরপরই তালেবান গোষ্ঠীর পাকিস্তান শাখার মুখপাত্র এহসানউল্লাহ এহসান অজ্ঞাত স্থান থেকে ফোনে সংবাদসংস্থাগুলোকে জানিয়েছেন, তারাই এই হামলা পরিচালনা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার প্রতিশোধের প্রথম কাজটি করেছে তাদের দুই ফেদাইন বা আত্নঘাতী বোমারু'৷ তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের জন্য আরও বড় ধরণের হামলা অপেক্ষা করছে'৷
এদিকে, লাদেন হত্যা অভিযান পরিচালনা ইস্যু নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের চিত্রটি প্রকাশ্য হচ্ছে দিন দিন৷ আজ ঘোষণা এসেছে, পাক সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল খালেদ শামিম অ্যামেরিকা সফর বাতিল করেছেন৷ সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল খালেদের আগামী ২২ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সফর করার কথা ছিল৷ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী