লাদেন ইস্যুতে উত্তপ্ত মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্ক
১১ মে ২০১১লাদেন পত্নীদের জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ
পাকিস্তানে অবস্থানরত লাদেনের তিন পত্নীকে খুব শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদ করবে মার্কিন গোয়েন্দারা, এমন আশা ব্যক্ত করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ৷ হোয়াইট হাউস ইতোমধ্যে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ প্রদানে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শীঘ্রই এই বিষয়ে অনুমতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে পাকিস্তান জানিয়েছে, লাদেন পত্নীদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে এখনো কোন আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেনি যুক্তরাষ্ট্র৷ এমতাবস্থায়, দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে পাকিস্তান সফরের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন সেনেটর জন কেরি৷ আগামী সপ্তাহে পাকিস্তান সফরে যাবেন তিনি৷ উদ্দেশ্য, দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আবারো সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা৷
গার্ডিয়ানের দাবি অস্বীকার
ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকা দাবি করেছে, আফগানিস্তানের তোরা বোরা পাহাড় থেকে বিন লাদেন পালিয়ে যাওয়ার পর ২০০১ সালে একটি চুক্তি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তান৷ এতে উল্লেখ ছিল, যুক্তরাষ্ট্র আল-কায়দা নেতাদের ধরতে যেকোন সময় পাকিস্তানে অভিযান চালাতে পারবে৷ সেসময় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন পারভেজ মুশাররফ৷ এক ফেসবুক বার্তায় মুশাররফ গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ এমনকি এই বিষয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লু বুশের সঙ্গে কোন আলোচনাও হয়নি বলে জানান মুশাররফ৷
লাদেনের সন্তানের বিবৃতি
লাদেনের চতুর্থ সন্তান ওমর বিন লাদেন এক বিবৃতিতে, তার পিতাকে ‘অযৌক্তিকভাবে হত্যা'র প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ লাদেনকে কেন জীবিত অবস্থায় আটক করা হয়নি, তা জানতে চেয়েছে ওমরের পরিবার৷ এছাড়া লাদেনের মৃতদেহ কিংবা ছবিভিত্তিক সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখতে চেয়েছে তারা৷ অ্যাবটাবাদে লাদেনের আস্তানায় দোসরা মে'র মার্কিন অভিযানের পর উদ্ধারকৃত জীবিতদের ছেড়ে দেওয়া উচিত বলেও এই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে৷ উল্লেখ্য, মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে অ্যাবটাবাদে লাদেনকে হত্যার সময় সে নিরস্ত্র ছিল৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন