1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাদেনকে ধরার সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দিয়েছিল মার্কিনবাহিনী

২৯ নভেম্বর ২০০৯

২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পরপরই লাদেনকে গ্রেপ্তার করার বা হত্যা করার সুযোগ পেয়েও তা নষ্ট করে মার্কিন সেনাবাহিনী৷ মার্কিন সিনেটে এই মর্মে রিপোর্ট পেশ হওয়ার পর শোনা যাচ্ছে নানারকমের মতামত৷

https://p.dw.com/p/KkVI
ওসামা বিন লাদেনছবি: AP

২০০১ সালে নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দুটি টাওয়ার মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল আল কায়দা৷ হামলা হয়েছিল ওয়াশিংটনে, পেন্টাগনেও৷ দুনিয়া কাঁপিয়ে দেওয়া, বিশ্বের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনকারী এবং সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের মানচিত্রকে সম্পূর্ণ বদলে দেওয়া সেই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার মাত্র দুই মাসের মাথায় আফগানিস্তানের তোরা বোরায় আল কায়দার মস্তিষ্ক ওসামা বিন লাদেনকে হাতে পেয়ে গিয়েছিল মার্কিন সেনারা৷ কিন্তু, তার ওপর হামলা চালাতে আফগান মিলিশিয়াকে ব্যবহার করেছিল তারা৷ আর সেই ফাঁক গলেই বিন লাদেন পালিয়ে যায় পাকিস্তানে৷ সেই ভুল যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তবে তারই মাশুল আজও দিতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকে৷ কারণ পাকিস্তানে গোপন ডেরায় বসে ওসামা বিন লাদেন তার সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে৷ হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্বের মাথাব্যথা৷

USA Militärlager in Irak bei Nadschaf
লাদেনকে ধরার সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দিয়েছিল মার্কিনবাহিনীছবি: AP

মার্কিন সিনেটে ডিমোক্র্যাট কর্মীদের দ্বারা তৈরি করা এই রিপোর্ট অবশ্যই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে৷ বলা হয়েছে, ওই সময় লাদেনকে পাকিস্তানে যেতে না দিলে পাকিস্তান থেকে আল কায়দার এতদূর বাড়বাড়ন্ত কোনভাবেই সম্ভবপর হত না৷ পাশাপাশি, মার্কিনবাহিনীর লাদেনকে ধরার বিষয়ে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আফগান মিলিশিয়াদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতাই এই ব্যর্থতার কারণ৷ সেনাবাহিনীর সদস্যরা লাদেন এবং তার দলবলের তোরা বোরায় থাকার ব্যাপারে জেনেও সম্পূর্ণ দায়িত্ব ছেড়ে দেয় মিলিশিয়াদের ওপর৷ ফলে লাদেন সহজেই তাদের ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷

ওদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন রবিবার বলেছেন, আল কায়দা সুপ্রিমো ওসামা বিন লাদেনকে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে পাকিস্তানকে অনেক বেশি তত্পর হতে হবে৷ শনিবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে টেলিফোন করেছিলেন ব্রাউন৷ জারদারিকে তিনি বলেন, লাদেন যে পাকিস্তানেই কোথাও আশ্রয় নিয়ে আছে, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই এ ব্যাপারে বহু প্রমাণ পাওয়া গেছে বারবার৷ পাকিস্তানে আল কায়দার সংগঠন সবচেয়ে সংগঠিত এবং শক্তিশালী৷ সেখানে তাদের দমন করার প্রয়োজনীয়তা সর্বাগ্রে বলে ব্যাখ্যা করেছেন ব্রাউন৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম