লাখো মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত আরাফাত ময়দান
১৫ নভেম্বর ২০১০সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ বছর দশ লাখ সত্তর হাজার মুসলমান হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের বাইরের দেশগুলো থেকে এসেছেন৷ স্থল, জল ও আকাশপথে মক্কার আরাফাতের ময়দানে পৌঁছেছেন একশ' একাশিটি দেশের মানুষ৷
আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাটা হজ পালনরতদের জন্য অবশ্য পালনীয় বিষয়গুলোর মধ্যে একটি৷ আরাফাতের ময়দান ক্ষমা পাওয়ার ময়দান হিসেবেও পরিচিত, যেখানে চৌদ্দশ' বছর আগে মহানবী হজরত মোহাম্মদ হজ উপলক্ষে তাঁর শেষ ভাষণ দিয়েছিলেন৷ সূর্যাস্তের সময় বেশিরভাগ মুসল্লি পায়ে হেঁটে, হুইল চেয়ারে কিংবা বাসে চড়ে আরাফাতে থেকে আল-মুজদালিফায় যাবেন৷
এবছর আরাফাতের ময়দান বরাবর মক্কার সঙ্গে মিনা এবং আল মুজদালিফার মধ্যে আঠারো কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রো লাইন বা পাতাল রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে৷ সৌদি আরব ও উপসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ, কূটনীতিবিদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য আগে থেকেই যেখানে সিট সংরক্ষিত রয়েছে৷
বত্রিশ বছর বয়সি মোহাম্মদ রিফাই৷ হজ পালন করতে এসেছেন৷ বলছেন, ‘‘বয়স্ক ও দুর্বল মানুষদের জন্য এই ট্রেনে সিট সংরক্ষণ করা উচিত ছিলো৷'' সুদানের যোগাযোগ প্রকৌশলী আবু হাসান হুধাইফা বলছেন, ‘‘উপসাগরীয় অঞ্চলের মানুষদের জন্য সিট বরাদ্দ রেখে একধরণের বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে৷'' তবে সৌদি সরকার বলছে, এটা আগামী বছর পর্যন্ত একটা পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজ করবে৷ তাই এই সংরক্ষিত ব্যবস্থা৷
সৌদি সরকার জানিয়েছে, এবছর হাজীদের মধ্যে দেড় কোটি (১৫ মিলিয়ন) লিটারের বেশি জমজমের পানি বিতরণ করা হয়েছে৷
রোববার কাবাশরিফ প্রদক্ষিণের মধ্য দিয়ে হজ অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ হজ পালনরত মানুষরা এরপর কাবা মিনায় যান৷ এবং সেখান থেকে আরাফাতের ময়দানে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক