সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারে খুশি সিরীয়রা
১২ অক্টোবর ২০১৬পুলিশ আল-বকরের দু'টি ছবিসহ ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছিল, তা বহু ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করা হয়৷ ‘‘জুইরিশে গেমাইন্ডে ইন ডয়েচল্যান্ড'' বা ‘জার্মানির সিরীয় সম্প্রদায়' তাদের মধ্যে একটি৷ এই ফেসবুক পেজের অনুসরনকারী এক লক্ষ পঁচানব্বই হাজার৷
অপরদিকে ‘‘জার্মান লাইফস্টাইল জিএলএস'' নামের ফেসবুক গোষ্ঠীর নব্বই হাজার সদস্য জার্মানিতে সিরীয় উদ্বাস্তুদের সাহায্য করে থাকেন৷ জিএলএসও পুলিশের পোস্টটি শেয়ার করে বলেছে, ‘‘সিরীয় হিসেবে আমাদের সেই সব ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হবে, যারা তাদের সাহায্যকারীদের অমঙ্গল করতে চায়৷''
এই ধরনের একটি ফেসবুক পোস্ট পড়ে ‘মোহাম্মেদ' জানতে পারেন যে, তিনি ও তাঁর দুই বন্ধু যে সিরীয়টিকে রাত্রে তাদের বাসায় থাকতে দিয়েছেন, সে একজন ফেরারি, তার নাম আল-বকর এবং পুলিশ তাকে খুঁজছে৷ তিনজনে মিলে আল-বকরকে বেঁধে ফেলেন ও পুলিশকে খবর দেন৷ আল-বকরের গ্রেপ্তারের খবরে ‘জার্মানির সিরীয় সম্প্রদায়' তাদের ফেসবুক পোস্টে লেখে, ‘‘একজন সিরীয় মাথা ঠাণ্ডা রেখে সন্ত্রাসী জাবের আল-বকরকে ধরে ফেলেছেন... আসুন আমরা সিরীয়দের স্বাগত জানাই৷''
জার্মানিতে বসবাসকারী সিরীয়রা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যেমন তাদের হর্ষ প্রকাশ করছেন, তেমনই তারা আল-বকরের মতো ব্যক্তিদের উপর ক্ষিপ্ত, যারা তাদের আশ্রয় সন্ধানী দেশবাসীদের ‘নাম খারাপ' করছে৷ অবশ্য কেমনিৎস-লাইপজিগের ঘটনার অনেক আগে থেকেই জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের নিরাপত্তাগত পটভূমি আরো ভালোভাবে খুঁটিয়ে দেখা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে৷
২০১৫ সালে যখন উদ্বাস্তুরা বিপুল সংখ্যায় জার্মানিতে আসতে শুরু করেন, তখন জার্মান কর্মকর্তারা প্রায় নিরুপায় হয়েই সিরীয়, ইরাকি ও ইরিত্রিয়ান উদ্বাস্তুদের মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদ বাদ দিয়ে তাদের জন্য শুধু একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম চালু করেন৷ তার একটি ফল হয় এই যে, বহু মরোক্কান ও উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য দেশ থেকে আগত উদ্বাস্তু সিরীয় হিসেবে নাম লেখাতে শুরু করেন৷ ফলে মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদ আবার চালু করতে হয়৷ জাবের আল-বকর সিরীয় হিসেবে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর স্বীকৃতি পান ২০১৫ সালে৷
প্রতিবেদন: জাব্রিনা পাব্স্ট/এসি
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী