1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

১৩ জুলাই ২০২১

রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়নের বিচার এবং তাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে৷ বাংলাদেশে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়ার পর প্রথম কোনো প্রস্তাব বিনা ভোটে গৃহীত হলো৷

https://p.dw.com/p/3wPA9
রোহিঙ্গারা, বাংলাদেশের ভাসান চরেছবি: Munir Uz Zaman/AFP

বাংলাদেশ মিশন সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মানবাধিকার পরিষদে এই প্রস্তাব পাসের খবর জানায়৷ প্রস্তাবটি পাসের ক্ষেত্রে জেনেভার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বিষয়টি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "সেই বিবেচনায় এবারের প্রস্তাবটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় মাইলফলক ৷''

মিয়ানমারে গণহত্যার শিকার হয়ে ২০১৭ সালের পর সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷  ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা তার আগে থেকেই বাংলাদেশে ছিল৷ মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেও ফেরত নেওয়া শুরু হয়নি৷

জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রস্তাবটি পাস হয়৷ বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামিক সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) সব রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুর মানবাধিকার পরিস্থিতি' শীর্ষক প্রস্তাবটি উপস্থাপিত হয়েছিল৷

বাংলাদেশ মিশন জানায়, মিয়ানমারের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শুরু থেকেই প্রস্তাবের বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রবল মতভেদ থাকায় শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হলো৷ প্রস্তাবটিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়৷

প্রস্তাবটিতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধসহ সব প্রকার নির্যাতন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনা ও তদন্ত প্রক্রিয়া জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকেও সমর্থন জানানো হয়৷

প্রস্তাবে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারকে মিয়ানমার বিষয়ক ‘নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশন'-এর সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে মানবাধিকার পরিষদ এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রতিবেদন উপস্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়৷

অধিবেশনে জেনেভা মিশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "মানবিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মম নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমানা উন্মুক্ত করে  দেন৷ মিয়ানমারের অসহযোগিতা ও অনীহার কারণে এখনও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হয়নি৷''

রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও তাদের মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়টি জাতিসংঘে আলোচনায় সক্রিয় রাখা এবং রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে দেশে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মোস্তাফিজুর রহমান৷ 

 এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য