রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ রাশিয়ার বিরুদ্ধে
২২ মার্চ ২০২২সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাসায়নিক এবং বায়োলজিক্যাল অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। ফলস ফ্ল্যাগ অ্যাটাকের সাহায্যে তারা এ কাজ করার চেষ্টা করছে।
রণনীতিতে 'ফলস ফ্ল্যাগ অ্যাটাক'-এর অর্থ, নিজের দেশের সরকারি সেনার পতাকা আড়ালে রেখে যখন কোনো আক্রমণ চালানো হয়। বাইডেনের অভিযোগ, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাশিয়া ঠিক সে কাজটিই করছে। তারা সরাসরি নিজের সেনাকে ওই আক্রমণে ব্যবহার করছে না। ঘুরপথে ওই অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা চালাচ্ছে। খারকিভে ইতিমধ্যেই সেই অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। সেখানে রাশিয়া ভ্যাকিউম বোমা ব্যবহার করেছিল বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা।
বাইডেন জানিয়েছেন, এর আগেও মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল, পুটিন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। মার্কিন গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিতেই পুটিন ফলস ফ্ল্যাগ ব্যবহার করছেন।
এরপরেই বাইডেন বলেন, রাশিয়ার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। যেনতেনপ্রকারেণ তারা এই লড়াই জিততে চাইছে। তারা ভেবেছিল ন্যাটোকে ভেঙে ফেলতে পারবে। কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টো ঘটনাই ঘটেছে।
স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ
বাইডেন এবং পেন্টাগন এদিন ফের অভিযোগ তুলেছে যে, রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাশিয়া যে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করছে, তার স্পষ্ট প্রমাণ আছে। পেন্টাগন ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে। এখনো সংগ্রহের কাজ চলছে। কী তথ্য হাতে এসেছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে তথ্য থেকে স্পষ্ট, রাশিয়া যুদ্ধপরাধ করছে।
ইউক্রেনের এক মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী এবং আইনজীবীও ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, তিনি এবং তার সংগঠন রাশিয়ার যুদ্ধপরাধ নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করছে। তাদের হাতেও অসংখ্য তথ্য এসেছে। তার বক্তব্য, এই সমস্ত তথ্যই আন্তর্জাতিক আদালতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক আদালত চাইলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে পারে। সংগঠনটির দাবি, রাশিয়া সাধারণ মানুষ, স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সেফ প্যাসেজ দিয়ে মানুষ পালানোর সময়ও আক্রমণ চালানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বন্ধ
এদিকে আরো একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বন্ধ করেছে রাশিয়া। ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টার ইউরো নিউজও বন্ধ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার বক্তব্য, খবরের নামে মিথ্যা তথ্য দেখানো হচ্ছে ইউরোপের একাধিক সংবাদমাধ্যমে। সে কারণেই সেগুলিকে বন্ধ করা হয়েছে।
বস্তুত, এদিনই রাশিয়ার আদালত ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। রাশিয়ার গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, এই দুইটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক 'উগ্রবাদী'। আদালত গোয়েন্দা রিপোর্ট মেনে নিয়েই তার নির্দেশ দিয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ এখনো সচল।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)