1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজরাশিয়া

রাশিয়ার হামলার পর যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানালো বিশ্ব

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরই নড়েচড়ে বসেছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

https://p.dw.com/p/47ZQc
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বার্লিনে। ছবি: Rolf Zoellner/epd/imago images

রাশিয়ার নিন্দায় সোচ্চার বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। একের পর এক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, ক্রীড়াবিদ, তারকারা রাশিয়ার হামলার নিন্দায় সামিল হয়েছেন। ইইউ রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কড়া আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে। অ্যামেরিকাও একই পথে হাঁটছে। পাশাপাশি চেষ্টা চলছে, রাশিয়া যাতে দ্রুত ইউক্রেন থেকে ফিরে আসে তার জন্য।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ ফোন করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনকে। মাক্রোঁ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তাকে এই ফোন করতে বলেছিলেন। কারণ, পুটিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ফোন ধরছেন না। মাক্রোঁ জানিয়েছেন, তিনি সরাসরি, কড়াভাবে খোলাখুলি কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, অবিলম্বে হামলা থামাতে হবে। রাশিয়ার সেনাকে ইউক্রেন থেকে ফিরে আসতে হবে।

মাক্রোঁ বলেছেন, এই ঘটনার ফলে ইউরোপের জীবন বদলে যাবে। এই হামলা ইউরোপের ইতিহাসে একটা টার্নিং পয়েন্ট।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন, ''আমরা পুটিনকে ইউরোপের সুরক্ষা ছিন্নভিন্ন করতে দেব না।'' তিনি জানিয়েছেন, ''আমরা রাশিয়ার অর্থনীতির প্রধান ক্ষেত্রগুলিকে টার্গেট করব। তারা যাতে বাজার না পায় এবং প্রযুক্তি না পায়, সেটা নিশ্চিত করব। তাছাড়া আমরা ইইউ-তে রাশিয়ার সম্পদ ফ্রিজ করব এবং রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলি যাতে এখানে কোনো কাজ করতে না পারে, সেটাও নিশ্চিত করব।''

জার্মানির চ্যান্সেলার শলৎস বলেছেন, ''কোনো কারণ ও যুক্তি ছাড়াই রাশিয়া এই হামলা করেছে। পুটিন বড় ভুল করলেন। রাশিয়াকে তার মূল্য দিতে হবে।''

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনের পাশে আছেন। তার বিশ্বাস, ''রাশিয়া কিছুতেই ইউক্রেন দখল করতে পারবে না। ইউক্রেন স্বাধীন থাকবে। পুটিনের এই বর্বরোচিত কাজ যাতে ব্যর্থ হয় তার জন্য আমরা কূটনৈতিক, আর্থিক, রাজনৈতিক এবং দরকার হলে সামরিক দিক থেকে চেষ্টা করব।''

এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিক্রিয়া

জাপান জানিয়েছে, তারা পশ্চিমা দেশগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাশিয়ার আগ্রাসনের মোকাবিলা করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তারাও রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন। তারা চান, শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান হোক।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণ সমাধান চান। ইউক্রেনে যা হয়েছে, তা তারা আর দেখতে চান না।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়ার হামলার জন্য ন্যাটোর উসকানিকেই দায়ী করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, এখন এই লড়াই শেষ করার জন্য রাজনৈতিক প্রয়াস নিতে হবে।

ইসরায়েল বলেছে, তারা ইউক্রেন ছেড়ে আসা সব মানুষকে আশ্রয় দিতে তৈরি। তারা ইউক্রেনের মানুষের জন্য মানবিক সাহায্য করবে।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া

বিশ্ব জুড়েই লেখক, শিল্পী, ক্রীড়াবিদরা রাশিয়ার হামলার প্রতিবাদ করছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের একটাই আবেদন, অবিলম্বে হামলা শেষ হোক। রাশিয়ার সেনা ইউক্রেন ছেড়ে দেশে ফিরুক।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)