1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের

১২ আগস্ট ২০২০

রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এখনো ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়নি।

https://p.dw.com/p/3gp6o
ছবি: picture alliance/AP Photo

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছিলেন, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছে রাশিয়া। কিন্তু তারপরই রাশিয়ার এই দাবি সন্দেহের চোখে দেখছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। কানাডা তো রাশিয়ার দাবি খারিজ করে দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয়নি। তারা জানিয়েছে, অনুমোদন দেয়ার আগে সুরক্ষা বিষয়ক যাবতীয় তথ্য খুব ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।   

রশিয়া এই ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো ক্লিনিকাল ট্রায়াল রিপোর্ট দেয়নি। সাধারণত, তৃতীয় পর্যায়ে কয়েক লাখ লোককে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তার ফলাফল সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পরই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। রাশিয়ার দাবি, তারা হাজার কয়েক লোকের ওপর এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করেছে। মস্কোভিত্তিক অ্যাসোাসিয়েশন অফ ক্লিনিকাল ট্রায়ালস অর্গানাইজেশন চলতি সপ্তাহেই স্বাস্থ্যমন্ত্রককে অনুরোধ করেছিল, এই ভ্যাকসিন নিয়ে তাড়াহুড়ো না করতে।

বিস্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ''আমরা রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। রুশ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে সুরক্ষা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যের বিচার করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।'' গত সপ্তাহেও তারা রাশিয়াকে জানিয়েছিল, তারা যেন সুরক্ষা ও কার্যকারিতা সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠিত বিধি মেনে চলে।

রাশিয়া এত তাড়াতাড়ি করোনার ভ্যাকসিন বের করে ফেলায় বিশেষজ্ঞদের একাংশ রীতিমতো সন্দিগ্ধ। তাঁদের মতে, ভ্যাকসিন নিয়ে দীর্ঘদিন ট্রায়াল দিতে হয়। তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে হয়। বিভিন্ন ধরনের মানুষের ওপর তা প্রয়োগ করতে হয়। লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডানকান ম্যাথুজের বক্তব্য, ''ভ্যাকসিন তৈরির খবর অবশ্যই স্বাগতযোগ্য। কিন্তু এর সুরক্ষার দিকটাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।'' জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ ল বিশেষজ্ঞ লরেন্স গস্টিন বলেছেন, ''আমি উদ্বিগ্ন। রাশিয়ার ভ্যাকসিন শুধু যে অকার্যকর হতে পারে তাই নয়, নিরাপদ নাও হতে পারে। পরীক্ষা করা সব চেয়ে জরুরি।'' অ্যামেরিকার প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি গত সপ্তাহেই বলেছিলেন, ''আমার আশা যে চীন ও রাশিয়া মানবদেহে ভ্যাকসিন দেয়ার আগে তা  ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখবে।'' আরেক বিশেষজ্ঞ পিটার ক্রমসনারের মতে, ''এই ভ্যাকসিন নিয়ে দীর্ঘ পরীক্ষা দরকার। তা না করে বাজারে ছাড়া হলে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ হবে।''

অর্থাৎ এই বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ার ভ্যাকসিনের সুরক্ষার দিকটা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। নির্দিষ্ট সংখ্যক লোকের ওপর পরীক্ষা ও তার ফলাফল বিশ্লেষণ করার পরই সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারে। তার জন্য সময় লাগে। তাই রাশিয়া তাদের এই ভ্যাকসিন তৈরিকে অসাধারণ ও গৌরবজনক বলে ব্যাখ্যা করলেও এ নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)