হারানো সব অঞ্চল সামরিক পন্থায় ফিরে পেতে চায় না ইউক্রেন
২৯ মে ২০২২‘‘আমরা যদি এভাবে (সামরিক পন্থায়) চেষ্টা করি তাহলে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারাবে,'' বলেন জেলেনস্কি৷
তবে, তিনি এটাও বলেছেন যে ‘‘ইউক্রেন সবকিছু ফিরে পাবে৷ সবকিছু৷’’
দেশের পূর্বাঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে জেলেনস্কি জানান, সেখানকার পরিস্থিতি ‘অবর্ণনীয় রকমের কঠিন'৷ এসব অঞ্চলে রাশিয়া ক্রমাগত নিজেদের দখলে নিচ্ছে৷
শনিবার দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘বিশেষ করে ডোনবাস এবং খারকিভ অঞ্চলের পরিস্থিতি খুবই জটিল৷ সেখানে রাশিয়ান সেনারা (যুদ্ধের) কিছু ফলাফল অন্তত নিজেদের পক্ষে নিতে চাচ্ছে৷''
এদিকে, ইউক্রেনের লিমান অঞ্চলের দখল নেওয়ার পর রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী শহর সিভিরোডোনেটস্ক দখলে হামলা জোরদার করে৷
বার্তাসংস্থাগুলো জানায়, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাসের দখল নিতে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ান সেনারা৷ এ অঞ্চলের সিভিরোডোনেটস্ক ও লিসিচান্সক শহরের চারপাশে নিজেদের অবস্থান শক্তশালী করছে৷
লিসিচান্সক অঞ্চলের গভর্নর সেরগি গাইডে টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জানান, লিসিচান্সকের পরিস্থিতি মারাত্মক খারাপ৷ একটি আবাসিক ভবনে রাশিয়ার বোমার আঘাতে একজন মেয়ে নিহত হয়েছেন এবং চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন৷
গভর্নর জানান, শহরের রাস্তায় রাস্তায় ইউক্রেন ও রাশিয়ান সেনাদের মধ্যে যুদ্ধ চলছে৷
দেশটির ডোনটেস নদীর পুর্বাঞ্চলীয় শহর সিভিরোডোনেটস্কের দখল নিতে হামলা অব্যহত রেখেছে রাশিয়ান সেনারা৷
সরাসরি ও আন্তরিক আলোচনার আহ্বান
চলমান যুদ্ধের মাঝেই জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনেস্কির সাথে ‘সরাসরি ও আন্তরিক আলোচনা' চালানোর আহ্বান জানান৷
পুটিনের সাথে ফোনে ৮০ মিনিটের আলোচনায় ইউরোপের এই দুই নেতা দ্রুত যুদ্ধ বিরতির এবং ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানান৷
আরআর/এআই (এএফপি, এপি, ডিপিএ রয়টার্স)