1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়াকে কড়া বার্তা দিতে চলেছে ইউরোপ

৩০ মে ২০২৩

ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রায় ৪৭টি দেশের শীর্ষ নেতা বৃহস্পতিবার মলডোভায় মিলিত হয়ে কৌশলগত হুমকি নিয়ে আলোচনা করবেন৷ মলডোভা ও ইউক্রেনের প্রতি তাদের সংহতির বার্তা মস্কোর জন্য স্বস্তিকর হবে না৷

https://p.dw.com/p/4Rx6l
ভ্লাদিমির পুটিন
ভ্লাদিমির পুটিনছবি: SPUTNIK via REUTERS

গত বছর ইউক্রেনের উপর হামলার ‘অজুহাত' হিসেবে রাশিয়া নিজের সীমানার দোরগোড়ায় পশ্চিমা বিশ্বের বেড়ে চলা প্রভাব তুলে ধরেছিল৷ বিশেষ করে সামরিক জোট ন্যাটোর থাবা থমকে দিতে ইউক্রেনের উপর কবজা করা জরুরি বলে যুক্তি দিয়েছিল রাশিয়ার নেতৃত্ব৷ অথচ বাস্তবে ইউক্রেনসহ রাশিয়ার সীমান্তের কাছের একাধিক দেশ বেশ কয়েক বছর ধরে ইইউ ও ন্যাটোর কাছে ‘অবহেলিত' থেকেছে৷ এই দুই জোটে যোগদানের কোনো বাস্তব সম্ভাবনার আশ্বাস পায় নি ইউক্রেন, জর্জিয়া, মলডোভা ইত্যাদি দেশ৷

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা সেই বাস্তবতা বদলে দিচ্ছে৷ বহু বছরের ‘অবহেলা' ঝেড়ে ফেলে পশ্চিমা বিশ্ব এবার সত্যি রাশিয়ার থাবা থেকে প্রতিবেশীদের মুক্ত রাখতে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে৷ মলডোভার রাজধানী চিসিনাউ-এর উপকণ্ঠে বৃহস্পতিবার ইউরোপের প্রায় ৪৭টি দেশের শীর্ষ নেতা মিলিত হয়ে রাশিয়াকে সেই বার্তা দিতে চলেছেন৷ ইউরোপীয় রাজনৈতিক সংঘ – ইপিসি-র দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য যথেষ্ট সময় না থাকলেও এর মাধ্যমে ইউরোপীয় সমন্বয় প্রক্রিয়ায় মলডোভার প্রতি সমর্থন যথেষ্ট স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ শীর্ষ সম্মেলনের আগেই ইইউ নেতারা ছোট ভিডিও পোস্ট করছেন৷ সেগুলিতে হ্যাশট্যাগ হিসেবে ‘মলডোভা নট অ্যালোন' ব্যবহার করা হচ্ছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এই সম্মেলনকে রাশিয়ার ‘উপনিশেবাদ'-এর বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷

প্রতিবেশী ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা এবং মলডোভার নিজস্ব ভূখণ্ডে রাশিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রয়াস সে দেশের দুশ্চিন্তার কারণ৷ এমনকি ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার স্বঘোষিত ‘শান্তি রক্ষী বাহিনী'-ও মোতায়েন রয়েছে৷ পশ্চিমা বিশ্বের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মলডোভার প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্ডু নিজের দেশ ও সরকারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ইউরোপের আরও সহায়তার আবেদন করে চলেছেন৷ তার আশা, ইপিসি-র শীর্ষ সম্মেলন সেই সংহতির বার্তা দেবে৷ মাত্র ২৬ লাখ জনসংখ্যার এই রাষ্ট্রে এই প্রথম এত বড় আকারের শীর্ষ সম্মেলন মস্কোর কাছে অস্বস্তিকর হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামোর বাইরের এই বৃহত্তর রাষ্ট্রজোট সাধারণ কৌশলগত হুমকি নিয়ে আলোচনার মঞ্চ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে৷

রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেন ও মলডোভা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছে৷ রাশিয়ার হামলা না ঘটলে সেই স্বীকৃতি পেতে আরও বিলম্ব হতো, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ তবে ইইউ-তে পথে দুই দেশের সামনে এখনো অনেক বাধা রয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই৷ মলডোভায় ইপিসি সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কিও সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেন৷ জেলেনস্কি দ্রুত ইইউ-তে যোগদানের আশা করলেও দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করেছেন৷

এসবি/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)