1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সংলাপের বিকল্প নেই’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩০ নভেম্বর ২০১৩

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন আবারও বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দুই নেত্রীকে চিঠি দিয়েছেন৷ বিএনপি এই চিঠির কথা স্বীকার করলেও প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া চিঠি নিয়ে সরকারের তরফে কোনো মন্তব্য জানা যায়নি৷

https://p.dw.com/p/1AQhR
TO GO WITH Bangladesh-vote-Zia-Hasina,PROFILE by Shafiq Alam (FILES) In this combination of pictures created on December 23, 2008, Bangladesh's last prime minister Khaleda Zia (L) and last opposition leader Sheikh Hasina Wajed (R) gesture during their respective political rallies in Dhaka on December 21, 2005 and February 5, 2006. Bangladesh's feuding former prime ministers are fighting to return to power in elections next week that will restore democracy after two years of army-backed government. Despite international hopes that Bangladeshi politics could open up a new chapter, either Sheikh Hasina Wajed or Khaleda Zia -- nicknamed the 'battling begums' for their longstanding rivalry -- will soon be back in control. Both women, from opposing political dynasties, were jailed for a year on corruption charges by the current regime but deals have seen them released from custody to ensure they take part in the vote. Sheikh Hasina, who is seen as the favourite to win, ruled Bangladesh from 1996-2001 but has struggled to escape from the shadow of her father who led the country to independence before being assassinated in a military coup. The killings in 1975 wiped out almost all of Sheikh Hasina's family including her mother, three brothers, and father, president Sheikh Mujibur Rahman, who led Bangladesh in its liberation struggle against Pakistan in 1971. AFP PHOTO/Farjana K. GODHULY/FILES (Photo credit should read FARJANA K. GODHULY/AFP/Getty Images)
ছবি: Getty Images/AFP/FARJANA K. GODHULY

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সংলাপের জন্য চিঠি দেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন৷ এর পর থেকে রাজনীতির জল অনেক দূর গড়িয়েছে৷ জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত এবং সহকারি সেক্রেটারি জেনেরেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো দু'ফা বাংলাদেশ সফর করেছেন৷ প্রথম দফা ডিসেম্বরে এবং দ্বিতীয় দফা ১০ই মে৷ আর চলতি সপ্তাহেই তিনি তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ সফরে আসছেন বলে জানা গেছে৷ তার আগেই অবশ্য জাতিসংঘের মহাসচিব দুই নেত্রীকে আবারো চিঠি দিলেন৷ জানা গেছে, চিঠিতে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের কথাই বলা হয়েছে৷

চিঠি চালাচালি এবং বিশেষ দূতের দু'দফা ঢাকা সফরের বাইরেও গত ২৩শে আগস্ট দুই নেত্রীর সঙ্গে সরাসরি টেলিফোনে কথা বলে জাতিসংঘের মহাসচিব৷ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চালাকালে দুই দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ‘সাইড লাইন'-এ আলোচনার উদ্যোগ নিলেও, শেষ পর্যন্ত সে আলোচনা হয়নি৷

এই অবস্থায় জাতিসংঘের নতুন উদ্যোগে কোনো ফল আসবে কিনা জানতে চাইলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ফল আসুক বা না আসুক উদ্যোগ নিতে তো বাধা নেই৷ আর যে কোনো ইতিবাচক উদ্যোগই যে দেশের মানুষকে আশান্বিত করে৷''

শান্তনু মজুমদার অবশ্য এ কথাও বলেন যে, বিদেশি কূটনীতিকদের অত্রিমাত্রায় তত্‍পরতার বিরোধী তিনি৷ তবে জাতিসংঘ ভূমিকা রাখতে পারে৷ এই প্রতিষ্ঠানটির নানা সমালোচনা থাকলেও বাংলাদেশ এর সদস্য৷ সদস্য রাষ্ট্রের নানা বিষয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ, উত্‍কণ্ঠা থাকতেই পারে৷ সেই জায়গা থেকে জাতিসংঘ উদ্যোগ নিতে পারে৷ কিন্তু কী উপায়ে সংকট নিরসন হবে, তা বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷

Activists of the Bangladesh Nationalist Party (BNP) throw stones at a bus during a protest in Dhaka November 26, 2013. Bangladeshi opposition supporters detonated scores of homemade bombs and removed railway tracks to disrupt train services on Tuesday as a planned nationwide protest against upcoming elections turned violent, witnesses and police said. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters/Andrew Biraj
Nations Framework Convention on Climate Change (COP19) in Warsaw November 21, 2013. REUTERS/Kacper Pempel (POLAND - Tags: POLITICS ENVIRONMENT)
ছবি: Reuters

তিনি মনে করেন, জাতিসংঘ বা বাইরের চাপে নয়, শেষ পর্যন্ত নিজেদের স্বার্থেই দুই রাজনৈতিক দল সমঝোতায় আসবে৷ কারণ, তারা জানে যে চূড়ান্ত সংঘাতের পরিণতি কী হবে৷ তারা জানে শেষ পর্যন্ত পুরো বিষয়টিই তাদের আয়ত্বের বাইরে চলে যেতে পারে৷ তখন দু'পক্ষই হিসেবের বাইরে চলে যাবে৷

তাহলে এত অনড় অবস্থান কেন, কেন ব্যাপক সহিংসতা? এই প্রশ্নের জবাবে শান্তনু মজুমদার বলেন, দুই পক্ষই চাইছে পরস্পরকে চাপে ফেলে যত দূর সম্ভব সুবিধা আদায় করতে৷ আর স্বাভাবিকভাবেই, তার বলি হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ৷ দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে যখন ‘উইন উইন সিচু্য়েশন' তৈরি হবে, কেবল তখনই এই সংঘাত থামবে৷ হবে রাজনৈতিক সমঝোতা৷ তবে এ ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে, শেষ পর্যন্ত দুই দলই ছিটকে পড়তে পারে বলে মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য