রাজধানীর শেষ মুহূর্তের পশুর হাট
শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশু কিনতে রাজধানীর পশুর হাটে ছুটছেন অনেক ক্রেতা৷ হাট ঘুরেও দেখা গেলে রংবেরংয়ের পশু৷
কোরবানির পশুর হাট
এবার ঢাকায় কোরবানির পশুর অনুমোদিত হাট ১৬টি। সারাদেশে মোট হাটের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি। ঢাকার সবচেয়ে বড় হাট গাবতলীর গরুর হাট। এটি স্থায়ী হাট। সারাদেশে এবছর কোরবানির পশুর চাহিদা এক কোটি তিন লাখ। সরকারের হিসেব মতে, দেশে কোরবানির জন্য পশু রয়েছে এক কোটি ২৫ লাখ।
নানা জাতের গরু
গাবতলীর হাটে ঘুরে দেখা রাজধানীর সবচেয়ে এই হাটে গেলে সব জাতেরই গরু পাওয়া যাচ্ছে৷ এরমধ্যে আছে দেশাল, ফ্রিজিয়ানা, ভুট্টি। আর বিক্রিও হচ্ছে বিভিন্ন দামের গরু৷ এক লাখের কম দামের গরু যেমন আছে তেমনি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা দামের গরুও৷
মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি
চলতি বছর দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে মাঝারি আকারের গরু পাওয় যাচ্ছে। জানা গেছে, এমন সাইজের গরুর চাহিদা সবরচেয়ে বেশি। মধ্যবিত্তরা এমন গরুর প্রধান ক্রেতা। ছোট আর বড় গরুর চাহিদা কম।
এবার গরুর দাম বেশি?
গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম শতকরা ২০ থেকে ৪০ ভাগ বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় গরুর দামও বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, গরু ধরে রেখে ব্যবসায়ীরা বেশি দাম আদায়ের কৌশল নিয়েছেন।
দামি গরু
ফ্রিজিয়ানা জাতের এই গরুটির দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। এরকম ১০-১৫ লাখ টাকা দামের অনেক গরু আছে। তবে এর ক্রেতা কম।
ছাগলের দামও চড়া
এবছর হাটে ছাগলও এসেছে প্রচুর। সাধারণত দাম ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ছাগল পাওয়া যাচ্ছে। তবে ৭০-৮০ হাজার টাকা দামের ছাগলও আছে।
শখের ছাগল
মানিকগঞ্জ থেকে এই ছাগলটি নিয়ে এসেছেন এক বিক্রোতা। দাম চাইছেন ৭০ হজার টাকা। তিনি জানান, এটা তার শখের পোষা ছাগল। কোরবানির হাটে ভালো দাম পাবেন ভেবে বিক্রি করতে এনেছেন।
ভেড়া-দুম্বা
পশুর হাটে ভেড়া আর দুম্বাও পাওয়া যাচ্ছে। ভেড়ার দাম ছাগলের চেয়ে বেশি। তবে এবছর গাবতলীর হাটে উট দেখা যায়নি।
আড়াই লাখ টাকার দুম্বা
আকারে ছোট হলেও দাম কিন্তু কম নয়৷ এই দুইটি দুম্বার দাম চাওয়া হচ্ছে প্রতিটি আড়াই লাখ টাকা করে। জানা গেছে দেশের খামারেই হয় দুম্বা পালন হয়। সাধারণত সৌখিন ক্রেতারা এগুলো কিনে থাকেন৷
কোরবানির পশুর সাজসজ্জা
কোরবানির পশু কেনার পর কেউ সেটিকে মালা, জরিসহ আরো অনেক কিছু দিয়ে সাজান। সেউ উপকরণও পাওয়া যায় হাটে।
বেল্ট ও ঘুঙুর
গরুসহ কোরবানির পশুর গলায় কালো বেল্ট দিয়ে সাজানোর রেওয়াজ আছে। বাজারে বেল্ট এবং পিতলের ঘুঙুর বিক্রি করছেন কেউ কেউ
বৃষ্টিতে বিপত্তি
বৃষ্টির কারণে গাবতলীর হাট পানি কাদায় একাকার হয়ে গেছে। তারপরও এটি স্থায়ী বাজার হওয়ায় অনেক ছাউনি আছে। তবে বৃষ্টির কারণে রাজধানীর অন্য হাটগুলোর অবস্থা আরো খারাপ।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
হাটের নিরাপত্তার জন্য আছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম। আছেন র্যাব সদস্যরা। নানা অভিযোগের প্রতিকারের জন্য আছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পুলিশ, র্যাব ও ট্রাফিক বিভাগের ওয়াচ টাওয়ার আছে হাটের বাইরে। এখান থেকে চাঁদাবাজি, জোর করে গরুর ট্রাক থামানো, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়।