যে সব খাবার নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়
খাবার কতদিনের পুরনো, কতটা স্বাস্থ্যসম্মত বা খাওয়ার পর কোনো সমস্যা হবে কিনা – তা অনেক সময়ই আমরা জানি না, বুঝতেও পারি না৷ এখানে এমন কিছু খাবারের তালিকা থাকছে যা নিশ্চিন্তে খাওয়া যায় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
ডাল ও বিচি
সীমের বিচি এবং বিভিন্ন রকমের ডাল ঘরে অনেকদিন রাখলেও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই, অর্থাৎ তা নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়৷ শুধু তাই নয়, বিভিন্ন বিচি ও ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনও৷
ভিনিগার
এতে প্রচুর অ্যাসিড থাকার কারণে খাবার সহজে নষ্ট হয় না৷ ভিনিগার শুধু খাবার ভালো রাখতেই সাহায্য করে না, রান্নাঘরের কফিমেশিন, কাঁচের থালাবাসন, এমনকি ঘরের মেঝে মুছতেও পানির সাথে খানিকটা ভিনিগার মিশিয়ে নিলে অনেক বেশি পরিষ্কার হয়৷ তাই ভিনিগার জার্মান গৃহিনীদের বেশ পছন্দের৷
চিনি
চিনি যদি পানির সাথে না মেশানো হয়, অর্থাৎ শুকনো থাকে, তাহলে চিনি নষ্ট হবার কোনো সম্ভাবনা নেই৷ চিনি নষ্ট হয় বা চিনি থেকে জীবাণু ছড়াতে পারে কেবল তখনই, যখন চিনির সাথে পানি মিশে যায়৷
লবণ
লবণ একদম শুকনো থাকলে, তা দশ বছরও ভালো থাকতে পারে৷ শুধু তাই নয়, মাংস বা জলপাইয়ে বেশি করে লবণ দিয়ে রেখে দিলে, সে’সবও ভালো থাকে৷
চাল
আমরা জানি যে চাল, নুডল্স বা আটা সহজে নষ্ট হয় না৷ তাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ সব খাবারের প্যাকেটের ওপর থেকে মেয়াদ-শেষের তারিখটি তুলে ফেলার পক্ষে৷
‘রেডিমেড’ বা তৈরি খাবার
বৈয়মে ভরা এই রেডিমেড খাবারগুলো (অনেকটা আমাদের আচারের মতো) অনেকটা সময় ঠিক থাকে৷ তবে সময়ের সাথে সাথে খাবারের রং ও স্বাদ বদলায়৷ এগুলো পুরনো হলে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি না হলেও, এর আসল স্বাদ আর পাওয়া যায় না৷
মধু
মধু ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে, কখনো নষ্ট হয় না৷ অর্থাৎ খুব শক্ত করে বোতলের মুখ বন্ধ করে ঠান্ডা জায়গায় রাখলে বহু পুরোনো মধুও আপনি অনায়াশে খেতে পারবেন৷ মধু পুরনো হলে রং বদলাতে পারে বা জমে যেতে পারে ঠিকই, কিন্তু এতে মধুর গুণগত কোনো ক্ষতি হয় না৷
মদ
ব্র্যান্ডির মতো পানীয়তে অ্যালকোহলের পরিমাণ বেশি থাকায় তা নষ্ট হয় না কোনোদিনই৷ তবে প্রশ্ন হলো, মদ বা ব্র্যান্ডিকে কি সত্যিই খাবারের মধ্যে ফেলা যায়?