যে মায়েরা গর্ভ ভাড়া দিয়ে বাঁচেন, অন্যদেরও বাঁচান
২ মে ২০১৭সমাজের চোখের সেই ‘অভাগী', ‘বন্ধ্যা' মেয়েদের জন্য তো বটেই, এমনকি সমকামী পুরুষ বা নারীর জন্যও ‘সারোগেসি' অমৃতের মতো৷ কারণ, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার হাত ধরে একমাত্র এভাবেই, অর্থাৎ গর্ভ ভাড়া করে নিজ সন্তানের মুখ দেখতে পারেন সন্তানহীনরা৷
একটা সময় ছিল, যখন দক্ষিণ এশিয়াতে বাণিজ্যিক সারোগেসি বলতেই উঠে আসতো ভারতের নাম৷ ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এই পদ্ধতির মাধ্যমে হাজারো ভারতীয় দম্পতি, সন্তানহীন নারী ও পুরুষ সন্তানলাভ করেছিলেন৷ এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশগুলোতে সারোগেসির খরচ মাত্রাতিরিক্ত হওয়ার কারণে, অথবা কোথাও কোথাও এ প্রথা আইনত নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে, বহু সন্তানহীন দম্পতিই গর্ভ ভাড়া করার জন্য উপস্থিত হতেন ভারতে৷
কিন্তু ২০১৫-র নভেম্বরে গর্ভ ভাড়া করে ‘ইন-ভিট্রো-ফার্টিলাইজেশন' বা আইভিএফ-এর মাধ্যমে সন্তান নেওয়ার এই প্রক্রিয়া বিদেশিদের জন্য আইনত নিষিদ্ধ হয়ে যায়৷ শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালে বাণিজ্যিক সারোগেসি নিষিদ্ধ করতে ‘সারোগেসি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৬' নামে সংসদে একটি বিল আনা হয়৷ তাতে গর্ভ ভাড়া করার এই প্রক্রিয়াকে ‘অনৈতিক' হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং বলা হয়, আইন না থাকায় গরিব ও অশিক্ষিত মহিলাদের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে ধনবানরা৷ অর্থাৎ সারোগেসি ক্লিনিকগুলি ধনীদের জন্য নিছক ‘বেবি-ফ্যাক্টরি' হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
‘সারোগেসি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৬'
প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, আন্তরিক চেষ্টা সত্ত্বেও সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম ভারতীয় দম্পতিদের ক্ষেত্রে সারোগেসি বৈধ৷ তবে তাঁদের সন্তান উত্পাদনে অক্ষমতার মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে৷ এক্ষেত্রে স্ত্রীর বয়স ২৩ থেকে ৫০-এর মধ্যে ও স্বামীর বয়স ২৬ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে হতে হবে৷ এবং সারোগেসি করতে চান এমন দম্পতির বিবাহ পাঁচ বছরের বেশি হতে হবে৷ কোনো দম্পতির যদি একটি সন্তান থাকে, তাহলে দ্বিতীয় সন্তানের জন্য অন্য নারীর গর্ভ ব্যবহার করা যাবে না৷
প্রস্তাবিত বিলে সমকামী দম্পতি, লিভ-ইন পার্টনারশিপ, সিঙ্গল পুরুষ বা সিঙ্গল মহিলাদের জন্য সারোগেসি অবৈধ বলে গণ্য করা হয়েছে৷ তাছাড়া যাঁর গর্ভ ব্যবহার করা হবে, তাঁকে যে দম্পতি সন্তান চান, তাঁদের আত্মীয় হতে হবে৷ এমনকি গর্ভ ব্যবহার করার জন্য সেই নারীকে চিকিত্সার খরচপাতি ছাড়া অন্য কোনো টাকা-পয়সাও দেওয়া যাবে না৷ কোনো নারী যদি একবার সারোগেট মা হয়ে থাকেন, তাহলে দ্বিতীয়বার তিনি তা হতে পারবেন না৷
সারোগেট মায়ের জবানবন্দি
চিন্তার বিষয় হলো, যে বা যাঁরা ভারতে বাণিজ্যিক সারোগেসি নিষিদ্ধ করতে সচেষ্ট, তাঁদের অনেকেরই সারোগেসি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই৷ আর যাঁদের ছাড়া সারোগেসি সম্ভবই নয়, মানে সারোগেট মায়েরা, তাঁদের কিন্তু কেউ জিজ্ঞাসাই করছেন না যে তাঁরা কী চান? রাজধানী দিল্লিতে বাস করেন মায়া (ছদ্মনাম)৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘না সারোগেসি চালু রাখা উচিত৷ আমরা ভারতীয়রা পাপ-পুণ্যে বিশ্বাস করি৷ আমাদের মাধ্যমে কেউ যদি কিছু পায়, তাতে দোষের কী? তাছাড়া আমরাও তো পুণ্য অর্জন করতে পারছি৷ আমার বিশ্বাস এতে করে ভগবানও আমাদের ভালো করবেন৷''
অবশ্য শুধু পুণ্য নয়, গর্ভ ভাড়া দেওয়ার মূল কারণ আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন৷ নিজের সন্তানদের একটু ভালো খাওয়া-পরা দিতে পারা, মাথা গোঁজার একটা জায়গা, স্বামীর জন্য একটা রিকশা বা মোটর সাইকেল অথবা ছোট্ট একটা ব্যবসার লোভেই গরিব ঘরের মেয়েরা বেছে নিয়েছে এই পথ৷ সারোগেট মা হওয়ার যন্ত্রণা তাঁরা সহ্য করেছে, করছে নিজের সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়েই৷ গৃহকর্মী, ইট ভাটার মজুর বা যৌনকর্মী হওয়ার চেয়ে তাঁদের কাছে বার দুয়েক সারোগেট মা হওয়াটাই শ্রেয় মনে হয়েছে৷
কিন্তু টাকাটাই কি সব? গুজরাটে আনন্দ শহরের ‘আকাঙ্খা' হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত, এক সময়কার সারোগেট মা তৃপ্তি বললেন, ‘‘আনন্দের এই ক্লিনিক থেকে একজন সারোগেট মা অনেক কিছু পান৷ নয় মাসের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, বাচ্চার জন্য কাপড়, বই, স্কুল ব্যাগ, স্কলারশিপ....সবকিছু৷ কিন্তু সরকার যদি এটা বন্ধ করে দেয় অথবা বিলটা পাশ করে তবে ধাক্কাটা সারোগেটেরই লাগবে৷ আমার মনে হয়, এটা হওয়া উচিত নয়৷ এটা এমন একটা ব্যবস্থা, যার ফলে গরিবের ঘরে স্বচ্ছলতা আসে৷ কিন্তু এর চেয়েও বড় কথা, ইন্টেপেন্ডেন্ট পেরেন্ট যখন প্রথমবার নিজের বাচ্চাকে দেখে, তাকে কোলে তুলে নেয়, তখন তাদের চোখে খুশির যে ঝিলিক দেখা যায়, ঠোঁটে যে হাসিটা ভেসে ওঠে, সেটা দেখে আমরা আমাদের সব দুঃখ, সমস্ত কষ্ট ভুলে যাই৷ একজন মা হয়ে আরেকটি মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারার আনন্দের আসলে কোনো তুলনা হয় না৷''
সমস্যা প্রতিটি স্তরে, প্রতিটি ক্ষেত্রে
এর মানে এই নয় যে, সারোগেট মায়েদের কোনোভাবেই ঠকানো হচ্ছে না৷ পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সঙ্গে তুলনায় না গিয়ে শুধু ভারতের দিকে তাকালেও চোখে পড়বে কিছু অসংগতি৷ ভারতের এক-একটি শহরে সারোগেসির প্রক্রিয়া আলাদা, ব্যবস্থা আলাদা, এমনকি সারোগেট মায়ের প্রাপ্য অর্থের পরিমাণটাও ভিন্ন৷ মুম্বই বা দিল্লির মতো শহরে যেখানে সারোগেসি করাতে খরচ হয় প্রায় ১২ লক্ষ ভারতীয় টাকার মতো, সেখানে ছোট শহর আনন্দ-তে সারোগেসির খরচ ৬ লাখ৷ আবার দিল্লি বা কলকাতায় সারোগেট মায়েরা যেখানে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা পান, সেখানে আবার আনন্দে তাঁরা পান ৪ লাখ করে৷ তবে সবক্ষেত্রেই সারোগেসি করতে যা খরচ হয়, তার সিংহভাগই চলে যায় বিভিন্ন এজেন্ট, ডাক্তার এবং হাসপাতাল বা ক্লিনিকে৷
কলকাতার জেনোম ক্লিনিকে ‘এগ ডোনার' জোগাড় করে দেন বেবি সিং৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমি দক্ষিণেশ্বরে থাকি৷ সেখানে অনেক গরিব মেয়ে আছে৷ তাদের খাওয়ার অভাব, পরার অভাব৷ অভাব না থাকলে তো আর কেউ এ কাজ করতে আসবে না...৷ আমি দেখি কাদের কী অভাব আছে৷ সেটা বুঝে আমি তাদের বোঝাতে যাই৷ বলি, চলো ডোনারের কাজ করবে৷ কাজ করলে এত টাকা পাবে৷ এই সব বলে বুঝিয়ে আমরা ওদের ক্লিনিকে নিয়ে আসি৷ এরপর আমি দক্ষিণেশ্বর থেকে যাকে খুঁজলাম, তার আবার হয়ত কোনো পরিচিত থাকে শ্যামনগরে৷ সে তাকে আমার কাছে নিয়ে এলো৷ তারপর তারও হয়ত কেউ চেনা আছে অন্য কোনো জায়গায়...৷ সেও আমার কাছে এলো৷ এভাবে একটা চেইন সৃষ্টি হলো৷ তখন আমি আমার টাকা থেকে অন্যদের দিলাম৷ প্রতিটা স্তরেই খরচ আছে৷''
সারোগেট মায়েদের কোথাও পুরো নয় মাসই কাটাতে হয় বন্দির মতো হাসপাতালের ঘরে৷ কখনো কখনো তাঁরা অবশ্য নিজের বাড়িতেও থাকতে পারেন৷ কোথাও তারা সদ্যজান সন্তানটিকে দেখতে পান, আদর করতে পারেন, এমনকি প্রথম দু'-তিন সপ্তাহ বুকের দুধও খাওয়াতে পারেন, কোথাও আবার সন্তানকে দেখার অধিকারটুকুও তাঁদের নেই৷
ছোট ছোট শহরে পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকেও পুরো ব্যপারটা লুকাতো হয় সারোগেটদের৷ সমাজ কী বলবে? এই ভয় কাজ করে৷ বড় শহরগুলোর ক্ষেত্রে অবস্থাটা অন্যরকম৷ সেখানে সারোগেট মায়েরা যেখানে থাকেন, সেখানে হয়ত অনেকেই এ কাজ করছেন৷ তাই লোকলজ্জার ভয় থাকে না৷ আর থাকলে নয় মাসের জন্য দূরে অন্য কোথাও চলে যান তাঁরা৷ এমনকি কোথাও কোথাও ইন্টেন্ডেন্ট পেরেন্টের বাড়িতেও থাকতে দেখা যায় তাঁদের৷
সারোগেসি নিষিদ্ধ করাই কি সমাধান?
প্রশ্ন হলো, তাহলে বাণিজ্যিক সারোগেসি বন্ধ করলে কি সারোগেট মায়েদের কোনো উপকার হবে? ভারতে বাণিজ্যিক সারোগেসি যিনি শুরু করেছিলেন, আনন্দ শহরের সেই ডা. নয়না প্যাটেল বললেন, ‘‘নিষিদ্ধ করা হলে এটা আন্ডারগ্রাউন্ডে, অর্থাৎ গোপনে চলতে পারে৷ তাছাড়া হবু সারোগেট মা যে সন্তানহীন দম্পতির আত্মীয়, তারই বা কী গ্যারান্টি থাকবে? ভারতে তো জাল সার্টিফিকেট করাটা কোনো ব্যাপার না৷ তাই আমি কীভাবে বুঝবো যে যাঁকে সারোগেট মা হওয়ার জন্য আমার কাছে নিয়ে আসা হয়েছে, তিনি সত্যিই আত্মীয়া এবং ইচ্ছুক, গৃহকর্মী অথবা অন্য কেউ নন?''
ডা. নয়না প্যাটেল বরং বাণিজ্যিক সারোগেসি বন্ধ না করে এ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করার সুপারিশ করেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমার মনে হয়, এক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা থাকা উচিত৷ রেজিস্ট্রেশন থাকলে যখনই আমার কাছে কোনো সারোগেট মা আসবে, সারা দেশ তখনই জেনে যাবে আমার ক্লিনিকে একজন সারোগেট মা এসেছে৷ সারোগেট আসার পর থেকে যা যা হবে তার সব তথ্য-প্রমাণ কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হবে৷ আর রেজিস্ট্রেশনে যদি ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো কোনো ব্যবস্থা থাকে, তাহলে চিহ্নিতকরণও সহজ হবে৷ জাতীয় পর্যায়ে না হলে রাজ্যেও এটা হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে রাজ্যের কাছে সব তথ্য থাকবে৷ আর রাজ্য সেগুলো কেন্দ্রকে জানাবে৷''
তাঁর মতে, ‘‘ নিষিদ্ধ করলে সারোগেসি হয়ত গোপনে চলবে৷ কিন্তু যদি নিয়ম করে দেওয়া হয়, তাহলে যাঁরা গর্ভ ভাড়া দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে কোনো অন্যায় হলে তাঁরা অভিযোগ করতে পারবেন৷ এ জন্য সারোগেটদের জন্য অভিযোগ কেন্দ্রও খোলা যেতে পারে৷''
সারোগেসির ধরন, বিকল্প ব্যবস্থা
সারোগেসিকে ‘অনৈতিক' হিসেবে আখ্যা দেওয়ার আগে এই প্রক্রিয়ার ধরন সম্পর্কে একটা ধারণা থাকা প্রয়োজন৷ ট্র্যাডিশনাল আইভিএফ পদ্ধতিতে নারীর ডিম্বাণু এবং গর্ভ – দু'টোই ভাড়া নেওয়া হতো৷ সেক্ষেত্রে সন্তানের ওপর মায়ের একটা জৈবিক অধিকার থেকে যাওয়ায়, বিশ্বের প্রায় কোনো দেশেই এটা আর করা হয় না৷ তাই সন্তান কার – সারোগেট মায়ের, নাকি যাঁরা সারোগেসি করাচ্ছেন, তাঁদের – এ প্রশ্ন ওঠারই কথা নয়৷ অন্যটা হলো জেস্টাশন আইভিএফ৷ এক্ষেত্রে ইন্টেন্ডেন্ট পেরেন্ট বা বাবা-মায়ের ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু নিষিক্ত করে যে ভ্রুণ তৈরি করা হয়, তা সারোগেট মায়ের গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়৷ এক্ষেত্রে পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব নিয়ে কোনো সংশয় থাকে না৷ তবে এঁদের কোনো একজনের সমস্যা থাকলে, মায়ের ডিম্বাণু ‘স্পার্ম ব্যাংক' থেকে আনা অন্য পুরুষের শুক্রাণুর সঙ্গে অথবা পিতার শুক্রাণু ‘ডোনার' নারীর ডিম্বাণু বাইরে নিষিক্ত করে ভাড়া করা নারীর গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়৷ যেহেতু গর্ভ ভাড়া দেওয়া নারীর ডিম্বাণু ব্যবহার করা হয়নি, সেহেতু ভূমিষ্ঠ সন্তানের ওপর এ ক্ষেত্রেও সেই সারোগেট মায়ের কোনো অধিকার থাকে না৷
বলা বাহুল্য, এই প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ৷ তাই বাণিজ্যিক সারোগেসির অনেক নিন্দুকই বলে থাকেন, সন্তান না হলে দত্তক নিলেই তো হয়! তাঁরা হয়ত জানেন না ভারতে দত্তক নেওয়া এখনও কঠিন এবং তার জন্যও একটা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়৷ এমনকি কখনো কখনো সারোগেসির থেকেও দীর্ঘ হয় এই পথ, দেখা দেয় নানা সমস্যাও৷
দরকার প্রস্তাবিত বিলের পরিবর্তন, সংস্কার
‘সারোগেসি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৬' পাশ হওয়ার আগেই বিলের বিভিন্ন ধারা নিয়ে ভারতে সুশীল সমাজে দেখা দিয়েছে বিতর্ক৷ কোনো কোনো মহল বলছে, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী সন্তান লাভের বা সন্তান ধারণের অধিকার যে কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার৷ তাই এতে রাষ্ট্র বা সরকারের হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত৷ অন্যদিকে সরকারের কথায়, এই বিল পাশ হলে গর্ভ ভাড়া নেওয়ার ‘অনৈতিক' প্রথা বন্ধ হবে৷ সারোগেট মা এবং তাঁর গর্ভজাত শিশু সন্তানের সুরক্ষার জন্য আইনি ও আর্থিক অধিকার কায়েম করাই নাকি সরকারের কাছে মুখ্য বিষয়৷ কিন্তু এ কাজটা বাণিজ্যিক সারোগেসি নিষিদ্ধ না করেও তো করা সম্ভব, দাবি ডা. প্যাটেলের মতো অনেকেরই৷
এই মুহূর্তে সংসদীয় একটি প্যানেল প্রস্তাবিত বিলটি খুঁটিয়ে দেখছে৷ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, সকলের কাছ থেকেই পরামর্শ চেয়েছে তারা৷ আগামী ১১ই জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেবে তারা৷ আর তারপরেই বোঝা যাবে ভারতে সারোগেসির ভবিষ্যৎ৷
বোঝা যাবে ঠিক কী হতে চলেছে ‘বায়োলজিকাল কুলি' বলে পরিচিত সারোগেট মায়েদের৷ সন্তানহীনরা হয়ত অন্য কোনো দেশে তাদের ভাগ্য পরীক্ষা করবেন, কিন্তু কী হবে গরিব ঘরের মা-মেয়েদের স্বপ্নের, তাঁদের আকাঙ্খার?
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷