1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিফিনল্যান্ড

যুদ্ধ হলে নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত হেলসিংকি

৭ মার্চ ২০২৪

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ও ইইউ তথা ন্যাটো দেশগুলির স্থলসীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে৷ ফিনল্যান্ডের মানুষ ন্যাটোয় যোগ দিয়ে সুরক্ষা বাড়িয়ে নিলেও রাজধানী হেলসিংকির নীচে পাতাল জগতে আশ্রয় নিতে প্রস্তুত৷

https://p.dw.com/p/4dGdD
হেলসিংকি শহরের ৩০ মিটার নীচে নির্মিত বাংকারে হকি খেলা চলছে
হেলসিংকি শহরের ৩০ মিটার নীচে নির্মিত বাংকারে হকির মাঠ, জিম, ক্যান্টিন, গাড়ি পার্কিংসহ অনেককিছু আছেছবি: DW

মাত্র আধ মিনিটেই একেবারে ভিন্ন এক জগতে পৌঁছানো যায়৷ হেলসিংকি শহরের তিরিশ মিটার নীচে সেই পাতাল জগত৷ সুড়ঙ্গ ও ঘরের বিশাল এক গোলকধাঁধা নয় লাখ মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারে৷ যুদ্ধের সময় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, রাসায়নিক অস্ত্র ও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ থেকে বাঁচতে তারা সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন৷

হেলসিংকির অন্যতম জনপ্রিয় প্লেগ্রাউন্ডে ছোট-বড় সবার জন্য হকির মাঠ, জিম, ক্যান্টিন, গাড়ির পার্কিং রয়েছে৷ অনেকে আবার সেখানে জন্মদিন পালন করতেও আসে৷

শহরের হাকেনিমি এলাকায় সবচেয়ে বড় বাংকার রয়েছে৷ তার মধ্যে দু-দুটি ফুটবল স্টেডিয়াম ঢুকে যেতে পারে৷ যুদ্ধ ঘটলে খুব কম সময়ের মধ্যে সেটি পুরোপুলি চালু এয়ার রেড শেল্টারে রূপান্তরিত করা সম্ভব৷ হেলসিংকি সিটি রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের টোনি রাস্ক বলেন, ‘‘স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে একটি বাংকার কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত কাজে লাগানোর ব্যবস্থা রয়েছে৷ বেশিরভাগ শেল্টারে আমরা প্রয়োজনে সেই সময়সীমা আরো বাড়াতে পারি৷ তবে সেখানে মানুষ থাকলে অনেক সমস্যাও হবে৷ মানুষের শরীরের উষ্ণতা একটা সমস্যা৷ আমি একাই যেমন সব সময়ে প্রায় একশো ওয়াট উত্তাপ সৃষ্টি করছি৷''

জরুরি পরিস্থিতিতে প্রায় ছয় হাজার মানুষ এমন এক বাংকারে আশ্রয় নিলে সমস্যা দেখা দেবে৷ এমন সমস্যা অবশ্য শুধু হেলসিংকিতেই সীমাবদ্ধ নয়৷ শহরটি গ্রানাইট ও গ্নিসের এক প্লেটের উপর অবস্থিত৷ বাংকারটি মাটির নীচে পাথুরে কাঠামোর মধ্যে রয়েছে৷ সেই পাথর স্থিতিশীলতা দিলেও খুবই শীতল৷

যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হেলসিংকি

সেই বাংকারে অনেক ব্যবস্থা করতে হয়৷ যুদ্ধ ঘটলে বিশাল হল প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক ছোট ঘরে ভাগ করতে হবে৷ হাজার হাজার মানুষ পাতাল জগতেও যাতে অনেক সময়ের জন্য বাস করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা রাখা জরুরি৷ টোনি রাস্ক বলেন, ‘‘এখানে কিছু মানুষের মৃত্যু হবে৷ শিশু জন্মগ্রহণ করবে৷ অসুস্থ মানুষ, মনে সুখ-দুঃখওলা মানুষও থাকবেন৷ একেবারে স্বাভাবিক সমাজ শেল্টারের মধ্যেও চলতে থাকবে৷''

ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার স্থলসীমান্ত রয়েছে৷ অনেক বছর ধরে দেশটি সামরিক জোট ন্যাটোর অংশ হতে চায় নি৷ সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশটি ন্যাটোরও সদস্য হয়েছে৷ ইউক্রেন যুদ্ধ ফিনল্যান্ডের মানুষের মনোভাব বদলে দিয়েছে৷ বেশিরভাগ মানুষ আরো সুরক্ষা এ নিরাপত্তা চাইছেন৷

হেলসিংকি সিটি রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের টোনি রাস্ক বলেন, ‘‘আমরা এই আশা নিয়ে আমাদের কাজ করে চলেছি, যে কোনোদিন এই সব বাংকার ব্যবহার করতে হবে না৷ তা সত্ত্বেও আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে৷ এমনটা যে ঘটতে পারে, ইতিহাস আমাদের সেই শিক্ষা দিয়েছে৷''

হেলসিংকির মানুষ এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে চান৷ প্রয়োজনে তাঁরা রাজধানী শহরের ৩০ মিটির নীচে বাংকারগুলির মধ্যে আশ্রয় নিতে পারেন৷

ইয়ুরি রেশেটো/এসবি