যুদ্ধাপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করতে নতুন ট্রাইবুনাল
১৫ ডিসেম্বর ২০১১ট্রাইবুনালে ইতিমধ্যেই জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে৷ মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও মাওলানা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়া হয়েছে৷ আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দখিল হবে ১৮ই ডিসেম্বর৷ আর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেছে ট্রাইবুনাল৷ আরেক বিএনপি নেতা আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আসছে শিগগিরই৷ সর্বশেষ জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে গ্রেফতারের আবেদন করেছে প্রসিকউশন৷ সব মিলিয়ে ট্রাইবুনালের ওপর এখন কাজের চাপ অনেক বেড়ে গেছে৷ তাই যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ দ্রুত করতে আরো একটি নতুন ট্রাইবুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷
আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানিয়েছেন, প্রথম ট্রাইবুনাল যেখানে সেই পুরনো হাইকোর্ট ভবেনই নতুন ট্রাইবুনাল হবে৷ আর দু'এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন ট্রাইবুনালের বিচারক নিয়োগ করা হবে৷ তিনি জানান, ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর এবং তদন্তকারীদের কাজ সন্তোষজনক৷ তবে নতুন ট্রাইবুনালের জন্য নতুন প্রসিকিউটর এবং তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে৷ কারণ তদন্ত ধীরে ধীরে আরো বিস্তৃত হবে৷ আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুরনো হাইকোর্ট ভবনের পুরোটাই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের কাজে ব্যবহার করা হবে৷ সেখান থেকে আইন কমিশনের অফিস সরিয়ে নেয়া হবে৷
২০১০ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের কাজ শুরু হয় একটি ট্রাইবুনাল দিয়ে৷ বেশ কিছু দিন ধরে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামসহ বিভিন্ন মহল খেকে বিচার ত্বরান্বিত করতে ট্রাইবুনালের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি উঠছিল৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক