যুদ্ধাপরাধীদের ‘সঠিক বিচার' দাবি
৪ ডিসেম্বর ২০১৪জামায়াত নেতা আব্দুস সুবহানের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় হবে যে কোনো দিন৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতার অনুসারীদের কাছে তাই জানতে চাওয়া হয়, ‘‘একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা ও লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?''
কয়েকজন পাঠক এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন৷ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে তাদের মধ্যে কোনো দ্বিধাবিভক্তি নেই৷ সুকুমার আবির লিখেছেন, ‘‘অন্যায় যেই করুক, তাকে সাজা পেতে হবে৷''
মো. জিয়াউল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘যদি এরা সত্যিই অপরাধ করে থাকে, তাহলে মৃত্যুদণ্ড দিলেও এদের শাস্তি কম হবে৷'' আর শিরীন সুলতানার কথা হচ্ছে, ‘‘এরা ১৯৭১ সালের ঘাতক এবং ধর্ষক৷ এদের ফাঁসি চাই৷''
তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কোনো কোনো পাঠক৷ এই বিচার যাতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থে ব্যবহার করা না হয়, সেই দাবি তাদের৷ দীর্ঘদিন ধরে ডয়চে ভেলের অনুসারী এম এ বারিক লিখেছেন, ‘‘কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় বুঝতে পারছি না৷ তবে মনকে জিজ্ঞেস করি শুধু কি জামায়াত শিবিরের ভিতরেই যুদ্ধাপরাধী আছে? বা এরাই কি আসল যুদ্ধাপরাধী?''
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নেতারও শাস্তি হয়েছে সম্প্রতি৷ এছাড়া বিএনপি-র একাধিক নেতা রয়েছেন অপরাধীর তালিকায়৷
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতার দীর্ঘদিনের অনুসারী শেখ আব্দুল হান্নান লিখেছেন, ‘‘সঠিক বিচার চাই৷ এ বিচার যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় রাজনীতি ফায়দা না হয়৷'' আর আমিনুল ইসলাম মনে করেন, ‘‘আমরা বাঙালি৷ বাংলা ভাষা থেকে যারা আমাদের সরিয়ে নিতে চেয়েছে তাদের শাস্তি আমরা চাই৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ